ভোলায় ঝড়ে বিধ্বস্ত স্কুল, পাঠদান বিঘ্নিত

ঢাকাঃ মাথার ওপর এক টুকরো টিনের ছাউনি। চারদিকে নেই কোনো বেড়া। রোদের তীব্র গরম আর ঝড়-বৃষ্টিতে কাদা-পানির মধ্যে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পাঁচ মাস পরও সংস্কার না হওয়ায় এ অবস্থা চলছে দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম দক্ষিণ কলাকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এতে করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ক্লাসের পরিবেশ না থাকায় দিন দিন ওই স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবি জানান এলাকাবাসী। তা না হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমান জানান, তাদের স্কুলে ভবন নির্মাণের প্রায় আড়াই মাস আগে কাজ শুরু হয়েছে। সেই ভবনটি নির্মাণের কাজ শেষ হতে কমপক্ষে দুই বছর লাগবে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে স্কুলটি বিধ্বস্ত হলে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মেরামত করার জন্য আবেদন করেন। পাঁচ মাস হয়ে গেলেও শিক্ষা কার্যক্রম চালুর জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ১১৬ ছাত্রছাত্রী এই বিদ্যালয়ে ভর্তি থাকলেও এখন উপস্থিতি অর্ধেক।

দৌলতখান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই বিদ্যালয়ের জন্য ইতোমধ্যে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় বিদ্যালয়ের পাঠদান বিঘœ হচ্ছে। অস্থায়ী ঘর নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অতিসত্বর অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/১০/২০২৩     

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়