গাইবান্ধাঃ জেলার সুন্দরগঞ্জে ভুয়া সনদ দিয়ে একযুগ চাকরি করার পর এক শিক্ষককে বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে। বরখাস্তকৃত ওই শিক্ষকের নাম সুরুজ্জামান সরকার। তিনি উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাজী সমেস উদ্দিনের ছেলে এবং ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সহকারী গ্রন্থাগারিক ও তথ্য বিজ্ঞান)।
বরখাস্তের কারণ প্রসঙ্গে জানা যায়, কয়েকমাস আগে সুরুজ্জামান সরকারের নিয়োগকালীন সনদটি ভুয়া প্রমাণিত হয়। পরবর্তী সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে সুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। প্রতিবেদন দাখিলের পর ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহকারী শিক্ষক সুরুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়।
সুরুজ্জামানের নিয়োগের বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা জানান, ২০১০ সালে অত্র বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি ছিলেন ফজলার রহমান। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সৎ ভাই সুরুজ্জামানের নিয়োগ সম্পন্ন করেন এবং ২০১৫ সালে এমপিওভুক্ত হয়।
বরখাস্তের বিষয়ে সুরুজ্জামান বলেন, ‘আমার সনদ সঠিক। এ ঘটনায় আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পুনরায় তদন্তের আবেদন করেছি।’
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার শিল্পী বলেন, গত ১৭ অক্টোবর ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহকারী শিক্ষক সুরুজ্জামান সরকারের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়। এরপর তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় থেকে ফৌজদারি মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মমিন মণ্ডল বলেন, বরখাস্তের বিষয়ে অবগত আছি। তবে কোনো শিক্ষক/কর্মচারীর সনদ ভুয়া-জাল প্রমাণিত হলে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বরখাস্ত করতে পারবে। যদি ওই শিক্ষক তার সনদ সঠিক দাবি করেন, তাহলে সেটি প্রমাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বোর্ডে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বোর্ড তার সনদ যাচাই করবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়