ভাণ্ডারিয়ায় ১৬৩ প্রাথমিকে ১৩৪টি পদ শূন্য

পিরোজপুরঃ জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকসহ জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ১৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৬টিতে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। ৩৭ প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ৮১৫ সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন ৭১৮ জন। ৯৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য।

উপজেলার ভাণ্ডারিয়া হাইসংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসন্তী রানী জানান, বিদ্যালয়ে প্রায় এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছেন। বিদ্যালয়ে ১১ শিক্ষকের স্থলে রয়েছেন ৯ জন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেশির ভাগ সময় প্রশাসনিক কাজ ও উপজেলায় মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি পাঠদানে সময় দিতে পারেন না। ফলে তাঁর ক্লাসগুলো অন্যদের নিতে হয়। এতে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।

অভিভাবক খোকন মণ্ডল জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় বাচ্চাদের লেখাপড়ায় ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিতম মণ্ডল, অঙ্কন হাওলাদার ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার জানায়, মাঝে মাঝে তাদের ক্লাস নেওয়া হয় না।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদ ৮ মাস ধরে শূন্য। এ ছাড়া উপজেলায় দু’জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। হিসাব সহকারী, অফিস সহায়কও নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের কারণে দাপ্তরিক কাজকর্মে বেগ পেতে হচ্ছে। কাজের গতিও কম। নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি বন্ধ থাকায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভাণ্ডারিয়া পৌর এলাকাসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এখানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মোট ১৩৪টি পদ শূন্য। শিক্ষক না থাকায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। অন্য শিক্ষকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। তবে শিক্ষক দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো খেলার মাঠ নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও বিনোদনের কোনো সুযোগ নেই।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হলে ৩৩ শতক জমি প্রয়োজন। নতুন ভবন নির্মাণে জমি কমে যায়। এ কারণে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের মাঠ কমে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/১০/২০২৩    

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়