শিক্ষকতাকে একটি সৃজনশীল পেশা হিসেবে ভাবা হয়। বলা হয় শ্রেষ্ট ও মহানতম আদর্শ শিক্ষক।জাতিকে আলোর পথে অনুপ্রাণিত করাই শিক্ষার মন্ত্র। মানুষের মনুষ্যত্ব, বীরত্ব,কৃতিত্ব গৌরবের জন্য ঋণী হচ্ছে শিক্ষকের কাছে। শিক্ষকই যদি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাণ হয়, তাহলে ৯৮%শিক্ষকের সাথে কেন এত বৈষম্য হচ্ছে?আজ যারা রাষ্ট্রের কর্তা তারা কি শিক্ষকের সান্নিধ্য ছাড়াই এটুকু এসেছেন?শিক্ষককে ঠকিয়ে কি শিক্ষা ব্যবস্থাকে আঘাত করা হচ্ছে না? শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা মান বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।পক্ষান্তরে বেসরকারি শিক্ষকদের সকল ক্ষেত্রেই অবহেলিত,উপেক্ষিত ও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।শিক্ষকদের বলা হয় স্যোসাল ইন্জিনিয়ার। আর তাদের সাথেই চলছে চরম বৈষম্য।রাষ্ট্রযন্ত্র বাড়িভাড়া,চিকিৎসা ভাতা,হাওড় ভাতা বদলি সামগ্রিক বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক ও সুষ্ঠু শিক্ষার মাঝে একটি বিভাজন তৈরি করে রেখেছে।দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরও যদি হতাশা ও অর্থনৈতিক দৈন্যতার প্রশ্ন উঠে তাহলে জাতি গঠনে দেশ এগোবে কিভাবে?শিক্ষকরা আত্মমর্যাদাশীল বলেই এসবের পেছনে এতো দিন ছুটেনি।তাই বলে কি শিক্ষকের অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, শিক্ষা , চিকিৎসার নিয়ে বাঁচার অধিকার নেই। শিক্ষককে বঞ্চিত করলে শিক্ষক কি ব্যথিত হয় না? এর প্রভাব কি শ্রেণিকক্ষে আসে না? তাহলে জেনে শুনে কেন শিক্ষাব্যবস্থাকে পূর্ণতা দেওয়া হচ্ছে না?জাতিকে যারা পথ দেখাবে তাদের জীবনমানের চিন্তাকে সামনে এনে -শিক্ষা জাতীয়করণ সময়ের দাবি। আগামী কোন শুভক্ষণে হয়ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ মাতৃকার পরম আস্থার ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশে শিক্ষায় নতুন বিপ্লব ঘটাবে। এটাই সবার চাওয়া। লেখকঃশাহঅালম সরকার,সহকারী শিক্ষক(সমাজ বিজ্ঞান),বাংগালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়,অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ।