শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ দেশে ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সবশেষ কুষ্টিয়ায় ‘লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, ২২টি শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর অন্যতম হচ্ছে অস্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের তারিখ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার অনুমোদিত ভূমি ও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ সাত বছর। তবে প্রয়োজনসাপেক্ষে এ সাময়িক অনুমতি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা যাবে। সে হিসাবে আইন অনুযায়ী ১২ বছরের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগ সাময়িক অনুমতির মেয়াদ পার করলেও এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি। বছরের পর বছর তারা আইন অমান্য করে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান করছে। এমনকি কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর দুই যুগ পার করলেও এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি।
বারবার সময় দেওয়ার পরও স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় চেষ্টা না করায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেয় উচ্চ শিক্ষা তদারকি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। তবে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবেদন করলে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ইউজিসি।
বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ব্যাপারে শিক্ষাবিদরা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আসছেন। এরপরও প্রতি বছর নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর ৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছে সরকার। দেশে ১৯৯২ সাল থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো ও বিদেশে শিক্ষার্থীদের চলে যাওয়া নিরুৎসাহী করা। শুরুর দিকে গ্রহণযোগ্য উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছিলেন। এতে দেশে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে, যেগুলো পড়াশোনার মান বজায় রেখেছে। অবশ্য ২০০১ সালের পর রাজনৈতিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে, যা এখনও চলছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এত সংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দরকার নেই। হাতেগোনা ৫-৬টি ছাড়া অন্যগুলোতে কোনো লেখাপড়া হয় না। কেবল ছাত্র ভর্তি করে ক্লাস করায় আর সার্টিফিকেট বিক্রি করে। এতে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাপ-মা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, ভর্তি হওয়ার পর সেখানে লেখাপড়া হয় না। ক্লাস হয়, পরীক্ষা হয় আর সার্টিফিকেট বিক্রি হয়।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কী অবস্থা : বর্তমানে শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এর অর্ধেকের বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ঢাকায়। শহর থেকে বাইরে গেলে শিক্ষার্থী পেতে সংকট হওয়ার আশঙ্কায় অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সরতে চায় না। কালো তালিকা থেকে রেহাই পেতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাকার বাইরে জমি কিনলেও নগরীর অভিজাত আবাসিক এলাকাজুড়ে ভাড়া বাড়িতে ক্যাম্পাস নিয়ে বহাল তবিয়তে আছে। এতে যানজটের আগ্রাসনেই শুধু আবাসিক এলাকা কবলিত হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয় দূরে থাক, কলেজের প্রাণও পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। ব্যাঙের ছাতার মতো করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে বনানীর ছোট্ট এলাকাতেই আছে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ধানমন্ডির রাস্তার দুই পাশে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সারি সারি ১৩টি ক্যাম্পাস। মিরপুর রোডে ও উত্তরায় রয়েছে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এমনকি কারওয়ান বাজার মাছের আড়তেও গড়ে উঠেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়। সবশেষ গত ৩১ মার্চ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে স্থাপন ও পরিচালনার সনদ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামো নির্মাণাধীন ১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন রয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি ক্রয় করেছে ২১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেনি। ফাউন্ডেশনের নামে ক্রয়কৃত জমিতে নির্মিত অবকাঠামোতে শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছে ২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম জমিতে ক্যাম্পাস নির্মাণ করেছে। দেশজুড়ে আউটার ক্যাম্পাস খুলে সার্টিফিকেট বিক্রি করত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে আদালতের রায়ে দারুল ইহসানের সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০০৬ সালে নানা অনিয়মের অভিযোগে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটির সাময়িক অনুমোদন বাতিল করে। পরে বন্ধ করা ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি এবং পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি আদালতের রায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সনদ বিক্রির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড এগ্রিকালচার, চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, বগুড়ার পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি), শরীয়তপুরের জেডএইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নিয়োগকৃত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ নেই। শিক্ষক স্বল্পতা এবং অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে সাতটি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাসে আংশিক শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করছে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে পিপলস ইউনিভার্সিটির নরসিংদীতে দুই একরের ওপর জমিতে ১১ তলাবিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ চলমান। নির্মাণাধীন ভবনে আংশিক শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সাভারের বিরুলিয়ায় ৩ দশমিক ৩০ একর জমিতে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভবন নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণাধীন ভবনে আংশিক শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির আশকোনায় ১ দশমিক ৫৩ একর জমিতে ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ২ তলা একটি ভবনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পাশে ৮ তলাবিশিষ্ট একটি ভবনের নির্মাণকাজ চলমান। চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি আরেফিন নগরে ১ দশমিক ৫ একর জমিতে ২টি ভবনে আংশিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি সাভারের কলমায় ৪ দশমিক ৫৩ একর জমিতে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ৫ তলাবিশিষ্ট ভবনে আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকার তুরাগে ১ দশমিক ৬৫ একর জমিতে ৩০ হাজার ২২৬ বর্গফুট আয়তনের ২ তলাবিশিষ্ট ভবনসহ একটি টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস বাড্ডার ভাটারায় ১ দশমিক ০৭৫ একর জমিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুরে ১ দশমিক ৮ একর জমিতে ২৮ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ২ তলা একটি ভবনে আংশিক শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। আশা ইউনিভার্সিটি তুরাগে ১ দশমিক ৯৮ একর জমিতে একটি টিনশেড ভবন তৈরি করে সেখানে আংশিক শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছে। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৪ বিঘা জমিতে আংশিক শিক্ষাকার্যক্রম চালায়। নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করছে। এগুলো হচ্ছে-ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, সিলেটের নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি, রাজশাহীর বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএইউএসটি), কাদিরাবাদে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএইউইটি)। নির্ধারিত পরিমাণ জমি কিনলেও নির্মাণকাজ শুরু করেনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনী ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, জামালপুরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএইউএসটি), দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি, বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মান ইউনিভার্সিটি। নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম জমি রয়েছে সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটি এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটির। ফাউন্ডেশনের নামে জমিতে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়। একাধিক ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি ও আর নিজাম রোড, পাঁচলাইশ এবং চট্টগ্রামে একাধিক ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইবাইস ইউনিভার্সিটির নামে নিজস্ব জমি নেই। বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব। একাধিক মামলা বিচারাধীন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই। দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা নামে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে। ইউজিসির ওয়েবসাইটে-এর ৯/বি পলওয়েল করোনেশন, সেক্টর-৮, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ ঠিকানা ও ৪৩টি প্রোগ্রামের নাম আপলোড করা আছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী মিরপুরের একটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান দাবি করে আদালতে করা রিট চলমান রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে আদালতে বর্তমানে একাধিক মামলা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা নানা অনিয়ম করছেন। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মেনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হবে। বাণিজ্যিকীকরণ করা যাবে না। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বন্ধ করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুততম সময়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ সবাইকে মেনে চলতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়