ফিরোজ আলমঃ “The transformation of education begins with teacher” অর্থাৎ” শিক্ষার পরিবর্তন শিক্ষক দিয়ে শুরু হয়” এমন প্রতিপাদ্যে ২০২৩ সালের ৫ ই অক্টোবর পালিত হবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
অর্থনৈতিক চিন্তা নয়,সামাজিক অবস্থান বিবেচনা নয় বরং জাতির মেরুদণ্ডকে সোজা রাখার জন্য পাঠশালা, মাদ্রাসা-মক্তব, প্রাক প্রাথমিক,প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যে শিক্ষাগুরুরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত,যারা শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রম দিচ্ছেন,আগামির সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করছেন নিরলসভাবে ,পাঠ দিচ্ছেন, পথ দেখাচ্ছেন,স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হতে , মানুষের মতো মানুষ হতে ৫ ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সেই সব শিক্ষকদের প্রতি শুরুতেই বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।
স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষকের মর্যাদা বর্তমান কতটা উচ্চাসীন হয়েছে তা দৃশ্যমান।
সদ্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর সরকারি খরচে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। দিবসটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দিবস উদযাপন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।এটিই জ্বলন্ত উদাহরনের জন্য যথেষ্ট।
ঐতিহাসিক প্রমাণে দেখা যায় ১৯০ বছরের বৃটিশ শাসনামলে এবং প্রায় ২৪ বছরের পাকিস্তানী শাসনকালে শিক্ষকের মর্যাদার তেমন উচ্চাসিন হয়নি । বাংলাদেশের এক সময়ের বেতনহীন, অতিশয় ভদ্র,চোখে ভাঙা চশমা,পরনে কম দামী কুচকানো পায়জামা- পাঞ্জাবি কিংবা লুঙ্গি, পায়ে সাধারন জুতা কিংবা সেন্ডেল,হাতে সাধারন ছাতা কিংবা তালি দেওয়া ছাতা বহনকারী শিক্ষক আজ কতই না উন্নত,সন্মানিত এবং মর্যাদার আসীনে অধিষ্ঠিত। ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সরকারের মাসিক পাঁচ (০৫) টাকা বেতনের সেই শিক্ষক এবং স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের এক সাথে ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ০১ লক্ষ ৬২ হাজার জাতীয়করন পাওয়া সেই শিক্ষক আজ বেতন এবং মর্যাদার মাধ্যমে অনেকটাই বিকশিত সন্দেহে নাই।অত:পর ক্ষমতাসীন দলগুলোর শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগোপযোগী সহযোগিতা বিশেষ করে ক্যারিশম্যাটিক লিডার জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সরকারিকরন,জাতীয়করন, এমপিওভুক্তি করন, শিক্ষক কল্যাণে গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপ যেমন জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় বৈষম্য দূর করন,এইচএসসি কলেজ বা আলিম মাদ্রাসায় জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক পদ বহাল রাখা,নবম গ্রেডে নিয়োগ প্রাপ্ত সকল প্রভাষকদের ৮ বছর চাকরিকাল পূর্ন হওয়া সাপেক্ষে সহকারী অধ্যাপক পদ নিশ্চিত করতে ঘৃন্য অনুপাত প্রথার ৫:২ বাতিল করে ১:১ করা,বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রদান,২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা প্রদান,সম্প্রতি ৫ শতাংশ প্রনোদনা প্রদান,শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে জাতীয়করন কমিটি গঠন,অতীতের তুলনায় শিক্ষা খাতে সদ্য ঘোষিত বাজেটে আনুপাতিক হারে এবং টাকার অংকে বাজেট বৃদ্ধিকরন,ম্যানেজিং কমিটির হাতে তথাকথিত নিয়োগের পরিবর্তে এনটিআরসি এর মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দান করা,বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দান করা,স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাবের ব্যবস্থাকরন,শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব প্রদান,দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের উপবৃত্তি ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে মান সম্মত বই প্রদান,আইসিটি শিক্ষা উপকরন প্রদান, সহকারি শিক্ষকদের অষ্টম গ্রেড(চলমান) প্রদান,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানসহ নানাবিধ অসাধারন ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন ,যা শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক নি: সন্দেহে।বিশাল পথ অতিক্রম করে শিক্ষা ব্যবস্থায় এত ব্যপক পরিবর্তন ঘটলেও শিক্ষকদের অধিকার ও কর্তব্য প্রশ্নে শিক্ষা ব্যবস্থায় আজও নানাবিধ সমস্যায় ভরপুর।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের প্রত্যাশা:
- শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক জীবন- মান উন্নতকরনে মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হবে।
- স্কুল- কলেজের সাথে মাদ্রাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় বৈষম্য দূর করা।
- ৮ বছর ফূর্তিতে সকল প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদান্নতি দেওয়া এবং এবং পর্যায়ক্রমে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ রাখা।
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি নিয়মে শতভাগ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া,চিকিৎসাভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা।
- সরকারি নিয়ম মেনে ঐচ্ছিক বদলি প্রথা চালু করা।
- মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া সম্পূর্ন করা(এরাবিক কিংবা নন এরাবিক) ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মাদ্রাসায় প্রশাসনিক পদে পদান্নতি পাবার অধিকার নিশ্চিত করা।
- মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত সুবিধা নিশ্চিত করা এবং মাদ্রাসার জরাজীর্ণ উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।
- গ্রন্থাগারিক ও সহ–গ্রন্থাগারিক পদে জেনারেল প্রার্থীর আবেদনের সুযোগ রাখা।
- এরাবিক বিষয়ের পাশাপাশি মাদ্রাসায় চাকুরী উপযোগী জেনারেল এবং বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চালু করা।
- মাদ্রাসার সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য স্তর এবং পদ মর্যাদা অনুযায়ী সরকারি নিয়মে গৃহ ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা।
- সরকারি নিয়মে চাকুরীকাল শেষে অবসর কিংবা কল্যান ট্রাস্টের পরিবর্তে পেনশন এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
- রাষ্ট্র পরিচালনায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২০% শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। অথচ বর্তমানে ৫০% এর ও বেশি ব্যবসায়ী জাতীয় সংসদে রাজত্ব করছেন।
- জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে ইউনেস্কোর নীতিমালা মোতাবেক জিডিপির ৬ থেকে ৮% বরাদ্দ নিশ্চিত করা। যা বর্তমানে জিডিপির ২.৫% এর কাছাকাছি।
- বিশ্ববিদ্যালয় যেমনি গণতন্ত্র কিংবা স্বৈরতন্ত্র দিয়ে পরিচালিত হতে পারে না,তেমনি রাজনৈতিক বিবেচনায় ও না।তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তির পাস কাটিয়ে সবচেয়ে মেধাবীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদ তথা শিক্ষক ,বিভাগীয় প্রধান, ডিন, প্রভোস্ট , প্রোভিসি , ভিসি নিয়োগে লাল দল, নীল দল, বিভিন্ন রঙের দল ছাপিয়ে শুধু মেধার ভিত্তিতে এবং গবেষনা কর্মের ভিত্তিতে নিয়োগ দান করা।যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় -বিদেশীয় লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীরা কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা তাদের অনুসরন করবেন নি: সংকোচে।
- যুক্তরাষ্ট্র,চীন,ভারত,কানাডা,যুক্তরাজ্য সহ পৃথিবীর প্রথম সারির ১০০টির ও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষক নিয়োগের মানদন্ডে
- কোয়ালিটি পিপল তথা সবচেয়ে যোগ্য লোককে নিয়োগ করা এবং নিয়োগপ্রাপ্ত কোয়ালিটি পিপলের জন্য ল্যাব,শিক্ষা উপকরন সহ প্রয়োজনীয় উপকরন,আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।মনে রাখতে হবে কোয়ালিটি বাড়াতে গেলে কোয়ালিটি ফ্যাকাল্টি ও নিশ্চিত করতে হবে।
- সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে বেঁচে থাকা পর্যন্ত শিক্ষকতার সুযোগ দান করা।
- গবেষণা কর্ম ও প্রকাশনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করন।
- বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ) প্রকল্প রান করার দায়িত্ব যোগ্য ও সৎ ব্যক্তির হাতে প্রদান করা।
- বাংলাদেশের বেসরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী রাজনৈতিক বিবেচনায় কিংবা স্থানীয় সভাপতি কিংবা কর্তা ব্যক্তিদের প্রভাবে বেশিরভাগ অধ্যক্ষ নিয়োগ হচ্ছে।ফলে অধিকাংশ এমপিওভুক্ত মাদরাসায় শিক্ষার গুনগত মানের তুলনায় পাসকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এখানে কোয়ালিটি পিপল এবং ফ্যাকাল্টি নিশ্চিত করতে হবে।
- বেসরকারি কলেজ- মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক পদে পদান্নতি মানদন্ডে প্রথমেই আগে নিয়োগকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে।শিক্ষাগত যোগ্যতাকে ধরি মাছ না ছুই পানিতে পরিনত করা হয়েছে।একই দিনে দুই জন শিক্ষক নিয়োগ পেলে বয়সকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।মেধা প্রথাকে গোল্লায় পাঠানো হয়েছে।এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কোয়ালিটি প্রাধ্যন্য দেওয়া জরুরী।
- টিআইবির সদ্য প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি নাগরিক কাজ করে। তাদের পিছনে বছরে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা কিংবা তারও বেশি খরচ হচ্ছে।নিয়োগ দাতাদের যুক্তি দেশে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। অথচ বিদেশী শ্রমিকরা কর্মে দক্ষ।এর অর্থ দাঁড়ায় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সময়ের চাহিদা মেটাতে পারছে না।যোগ্য ও দক্ষতা ভিত্তিক জাতি তৈরিতে আমরা ব্যর্থ।এখানে দক্ষ জনশক্তি বাড়ানোর দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
অন্যদিকে শিক্ষকদের ও অনেক দায় বদ্ধতা এদেশের প্রতি, দেশ গঠনের প্রতি। তাই শিক্ষাগগুরুদের প্রতি কিছু পরামর্শ বিনয়ের সাথে উপস্থাপন করলাম।
- শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
- দেহ-মনের সমন্বিত ভাষায় পাঠ দান করুন
- উপস্থাপনায় সাবলীল হউন।
- ক্লাস উপস্থাপনের মাঝখানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট প্রশ্ন রাখুন।
- আলোচ্য টপিকের গুরুত্ব সম্পর্কে স্পস্ট ধারনা দিন
- আগ্রহী শিক্ষার্থী নির্বাচন করুন।
- ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কোনো বিষয় স্পষ্ট ভাবে বোঝাতে উপমা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষন করুন।
- ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরি করে দিন
- প্রাক্টিক্যাল বা প্রয়োগিক শিক্ষার ব্যবস্থা করুন
- শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক শিক্ষা জাগ্রত করুন
- মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে শিক্ষাদান চালু রাখুন।
তাই পরিশেষে বলতে চাই,পদ্মা সেতুর মত বিস্ময়কর প্রকল্প ,রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে বড়,৪৬.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বাংলাদেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মত অসংখ্য প্রকল্পের নির্মাতা তথা আগামির সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করতে,আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার জন্য দক্ষ কারিগর তৈরি করতে,STEM নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার সুফল নিশ্চিত করতে,মস্তিষ্ক প্রধান নৈপুণ্যের যথাযথ সন্মান রক্ষা করতে,চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষক নামক মেধাবী গুরুদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা সহ যথাযথ মূল্যায়ন অপরিহার্য।এর ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতার পেশায় আকৃষ্ট হবে। মেধাবীদের দ্বারা নিরলসভাবে পাঠদান নিশ্চিত হবে,নতুন প্রজন্ম সঠিক পথের সন্ধান পাবে ও স্বপ্ন দেখতে শিখবে এবং মেধা নির্ভর দেশ গড়তে এই শিক্ষকরাই প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
লেখকঃ বিভাগীয় প্রধান, আয়েশা ( রা:) মহিলা অনার্স কামিল মাদ্রাসা, সদর, লক্ষীপুর ও সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক,কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটি এবং সাধারন সম্পাদক লক্ষীপুর জেলা শাখা, বিএমজিটিএ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১২/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়