বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে বেস্ট অলরাউন্ডার সাকিব

চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে অন্য যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে পরিস্কারভাবে যিনি এগিয়ে আছেন তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। এখন পর্যন্ত তিনিই এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। তিনি ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি এবং ৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। আর অন্য ইনিংসে, পরিসংখ্যানে যেটি এবারের আসরে ব্যাট হাতে তার সবচেয়ে খারাপ পারফরমেন্স, সেটিতেও তার রান ৪১!

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে এই আসরে নিজের শিকার করা উইকেটের সংখ্যাও নিয়ে গিয়েছেন ১০’এ। আর এই বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ওয়ানডে’তে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রমাণ করেছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে অন্যতম কেন বলা হয় তাকে।

সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ওয়ানডেতে ৫০০০ রান আর ২৫০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বটা সাকিবের দখলেই ছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দ্রুততম সময়ে ৬ হাজার রান আর ২৫০ উইকেট নেয়ার রেকর্ডটিও দখল করেন সাকিব।

ওয়ানডেতে সাকিব বাদে যে দুই ক্রিকেটারের এই অর্জন রয়েছে তারা হলেন জ্যাক ক্যালিস, সানাথ জয়সুরিয়া ছাড়া শহীদ আফ্রিদি। সাকিবের আগে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে এই মাইলফলকে পৌঁছানোর রেকর্ড করেছিলেন আফ্রিদি। তবে শহীদ আফ্রিদির চেয়ে ৯২ ম্যাচ কম খেলে িএই রেকর্ড করেছেন সাকিব।

সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫১ রানের ইনিংস খেলার পথে পার করেছেন ইতিহাসের ১৬তম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজার রান করার কৃতিত্ব। বিশ্বকাপে এক হাজার রান করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার তিনিই।

আর সাউদাম্পটনে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি আর ৫ উইকেট নেয়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকে। এতদিন এই রেকর্ডটির একমাত্র মালিক ছিলেন ভারতের যুবরাজ সিংয।

বিশ্বকাপে অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যের পরিসংখ্যানের হিসেব করলে এখনই চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। কারণ বিশ্বকাপে এক হাজার রান করা এবং ৩০ উইকেট নেয়া একমাত্র ক্রিকেটার তিনিই।

এর আগে ১১৬৫ রান ও ২৭টি উইকেট নিয়ে ৫টি বিশ্বকাপ খেলা শ্রীলঙ্কার সানাথ জয়সুরিয়া ছিলেন পরিসংখ্যানের খাতায় সবচেয়ে কার্যকরী অলরাউন্ডার।

সূত্র: বিবিসি বাংলা