৩৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ সবাই সরকারি চাকরির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন। রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী এই বিসিএস থেকে চাকরি পাবেন। ক্যাডার, নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পর এবার দ্রুত নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির ফল প্রকাশ করতে যাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, মোটামুটি ৩৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ সবাই চাকরির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন। দ্রুত ৩৭তম বিসিএস থেকে উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডারের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, চলতি মাসের ২৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা। সোমবারই ৩৮ম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণ ক্যাডারের এই মৌখিক পরীক্ষা চলবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর আগে গত ১ জুলাই ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৬২ জন। তবে এবার রেজিস্ট্রেশনের সিরিয়াল অনুযায়ী নয়, লটারির মাধ্যমে পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১৬ হাজার ২৮৬ জন উত্তীর্ণ হন। গত বছরের ৮ আগস্ট এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়।
প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টিসহ জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তাকে ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এতে আরও ১৩৬টি ক্যাডার পদ যুক্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চাকরি পাবেন ৩৭তম বিসিএস নন-ক্যাডারের সবাই : ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির তালিকা দ্রুত প্রকাশ করতে যাচ্ছে কমিশন। এর আগে চলতি বছরের ১৩ মার্চ সর্বোচ্চসংখ্যক ৫৭৮ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া গত ৪ জুলাই আরও ৯৯ জনকে প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
প্রথম শ্রেণি শেষে এবার ঈদের আগে একটি দ্বিতীয় শ্রেণির তালিকা প্রকাশ করা হবে। ঈদের পরে বা ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত আরেকটি তালিকা প্রকাশ করবে পিএসসি। ফলে অপেক্ষামাণ সবাই চাকরি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে পিএসসি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
এতে ১ হাজার ৩১৪ জন ক্যাডার পান। বাকি ৩ হাজার ৪৫৪ জনকে নন-ক্যাডারে অপেক্ষমাণ রাখা হয়। তার মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৭৭ জন চাকরি পেয়েছেন।