নিউজ ডেস্ক।।
সামাজিক সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রে বেশি মুনাফা দেয় সরকার। নিম্ন-মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, নারী-প্রতিবন্ধী ও অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের জন্য সঞ্চয়পত্রের বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে। কিন্তু কেন গ্রাহক সঞ্চয়পত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কেন বিক্রির চেয়ে পরিশোধ করা হচ্ছে বেশি। সাধারণ গ্রাহক বলছেন, পণ্য ও সেবার দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জীবনযাপনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।
এর প্রভাব পড়ছে সঞ্চয়ে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে কড়াকড়ি আরোপ করাসহ নানা কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে নেমেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার মান ব্যাহত হচ্ছে। বেশ বিপাকে পড়ছেন সীমিত আয়ের মানুষ।
ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ভোগ কমিয়ে হাতের বাড়তি টাকা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন, কেউ জমানো সঞ্চয় বিক্রি করছেন। সদ্য শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, ভাঙা পড়েছে তার চেয়ে ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ পুরো অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকার এক টাকাও ঋণ পায়নি। অথচ অর্থবছরটিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের।
আর চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ১৭ হাজার কোটি টাকা কম। পুরো অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের মোট বিক্রি হয় ৮০ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। একই সময়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর পরিমাণ ছিল ৮৪ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। ফলে পুরো অর্থবছরে নিট বিক্রি দাঁড়ায় ঋণাত্মক ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।