বিদ্যালয়ের প্রবেশপথেই ময়লার স্তূপ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সৃজনী বিদ্যানিকেতন ঘেঁষেই পাতাবুনিয়া-গাবতলী খাল। এতে ফেলা হচ্ছে নিকটবর্তী বাজারের ময়লা-আবর্জনা। উৎকট গন্ধের কারণে নাকে রুমাল চেপে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। অস্বস্তিকর ও নোংরা পরিবেশের মধ্যেই ক্লাস করতে হয় তাদের। এ অবস্থায় পাঠদান চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

দুমকীর প্রাচীন পীরতলা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পাতাবুনিয়া-গাবতলী খাল। এক সময় এই খাল দিয়ে চলাচল করত নৌকা ও ছোট-বড় ট্রলার। এখন সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। খালটির পশ্চিম পাশে পীরতলা বাজার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ব পাশে সৃজনী বিদ্যানিকেতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ও কেরামত আলী হল। হলের ছাত্ররা খালের পাশ দিয়েই চলাচল করেন। পীরতলা বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত এ খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এতে খালটি পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে। ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে দুই পাড় দিয়ে চলাচলরত পথচারীদের ভোগান্তি চরমে। এলাকার শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, আমাশয়, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে খুব কষ্ট হয়। বিদ্যালয়ে ঢোকার পরও স্বস্তি নেই। দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস করতে হয়।

কেরামত আলী হলের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও কেরামত আলী হলের কয়েকশ ছাত্র এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। চলাচলের সময় দুর্গন্ধে মনে হয় নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে এলো।

সৃজনী বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, স্থানটিকে বাজারের লোকজন এখন ভাগাড় হিসেবেই ব্যবহার করছে। প্রতিনিয়ত এখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দ্রুত ময়লা অপসারণে ব্যবস্থা নিতে বাজার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

পবিপ্রবির হেলথ কেয়ার সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার এটিএম নাসির উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে ময়লার স্তূপের কারণে শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।

পীরতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, খালটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সমকাল