অনলাইন ডেস্ক।।
করেনা মহামারীতে বিদ্যালয়ে পাঠদান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সাথে সংযুক্ত রাখা ছিল খুবই কঠিন। তবুও সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগিদের প্রচেষ্টায় বিকল্প উপায়ে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে একথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
করোনকালে বিকল্প উপায়ে পাঠদান নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান। তিনি জানান, ২০০২ সাল থেকে চরাঞ্চলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা চালাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ। সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির কল্যাণে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তাই করোনা মহামারীর সময় স্বাভাবিক জনকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি ৪৩টি প্রাথমিক, ১৬টি মাধ্যমিক এবং ৪৯টি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪২৯৬ ছাত্র-ছাত্রী এবং ৯৮০ বয়স্ক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় দেয়া হয়েছে বিশেষ নজর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট অধ্যাপক ড. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে জাতীয় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সদস্য প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রশিক্ষণ বিভাগ পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাস এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এটুআই পলিসি স্পেশালিস্ট আফযাল হোসেন সারোয়ার। সেমিনারে বক্তারা জানান, দীর্ঘ সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের লেখা-পড়ায় ঘাটতি এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি মেধার বিকাশ এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানান তারা।