ফেসবুকে গুজব ছড়ানোয় শিক্ষক গ্রেপ্তার

ফেসবুকের মাধ্যমে ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহজনিত মিথ্যা তথ্য প্রচারকালে মঙ্গলবার বিকেলে ফটিকছড়ির ভূজপুর থানাধীন সুয়াবিল এলাকা থেকে আবু তৈয়ব মুহাম্মদ মুজিবল হক নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত শিক্ষক সুয়াবিল টেকের দোকানের হযরত আব্দুল মালেক শাহ (র) মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক।

এদিকে মোবাইলে কল, ফেসবুকে পোস্ট ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে মাথা কাটা এবং ছেলে ধরার গুজব ছড়ানোর মুহল হোতা আব্দুল সহিদ হাওলাদারকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত একটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়।

আটক আব্দুল সহিদ হাওলাদার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী হাওলাদারের ছেলে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ থেকে আটক করে পুলিশ।

চরফ্যাশন থানা পুলিশের ওসি সামছুল আরেফিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল সহিদ হাওলাদার ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামের মানুষকে ফোন করে ও ফেসবুকে পোস্ট এবং ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে শিশুদের মাথা কেটে নেয়া হচ্ছে ও ছেলে ধরারা শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। গত ২/৩ দিন ধরে তাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছিল, কিন্তু সে একের পর এক স্থান পরিবর্তন করার কারণে ধরা যায়নি।

তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত স্মার্ট ফোনসহ তাকে আটক করি।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দোষ স্বীকার করেছে এবং এ কাজে তার সঙ্গে আরও দু’জন রয়েছে বলে জানান। আপাতত তাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। ওই দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।