প্রাথমিকের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার মানদণ্ড কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিজেকে আপনি আদর্শের চূড়ায় কল্পনা করেন? আপনি কি জানেন একজন শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে আপনাকে কোন কোন সূচকে উন্নতি করতে হবে? একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার কোন কোন বৈশিষ্ট্য, গুণ বা দক্ষতা থাকতে হবে? না থাকলে আপনাকে কী কী গুণ অর্জন করতে হবে। এজন্য বেশ কিছু মানদণ্ড রেখেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরাদের নির্বাচন করা হয়। এরপর তাদের স্বর্ণপদকের মাধ্যমে ‘বর্ষসেরা’ সম্মানে ভূষিত করা হয়ে থাকে। সাধারণ প্রতি বছর জুলাই মাসে প্রতি উপজেলা হতে সেরা শিক্ষক ও শিক্ষিকা বাছাই করা হয়। সে হিসেবে আগামী মাসেই এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

পদক প্রদান নীতিমালা অনুযায়ী, বিদ্যালয়, ইউনিয়ন, উপজেলা বা থানা, জেলা, বিভাগ পর্যায়ে বাছাই হয়ে জাতীয় পর্যায়ে দেশসেরা নির্বাচিত হবেন। প্রত্যেক পর্যায়ের বাছাই কমিটি সভা করে প্রতিযোগিতার স্থান ও সময় নির্ধারণ, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রচার, বিচারক প্যানেল তৈরি ও নিয়োগ দেবেন। প্রতিযোগিতার ফলাফল সংরক্ষণ করবেন। শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনের পর সংশ্লিষ্ট বাছাই ছক পূরণ ও প্রামাণ্য কাগজপত্র ডিপিইতে পাঠাবেন।

জাতীয় পর্যায়ের বাছাই কমিটি কার্যক্রমে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পর্যায়ে বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি হলে সংশ্লিষ্টদের নিকট ব্যাখ্যা চাইতে পারবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। প্রয়োজনে সরেজিমন তদন্ত করে তথ্য যাছাই করে ব্যবস্থা নেবেন।

শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার মানদণ্ড

প্রাথমিক পর্যায়ে একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বাছাইয়ে ১০০ নম্বরের মানবন্টনের ক্ষেত্রে মূল্যায়িত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছেএসএসসি ও এইচএসসি- পরীক্ষার ফল;সিইনএড; স্নাতক/অনার্স ও স্নাতকোত্তর/বি-এড/এম-এড; অভিজ্ঞতা; শিক্ষকের হাতের লেখা ও চক বোর্ড ব্যবহার; সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরির ও মূল্যায়নের দক্ষতা; শিশুদের নিকট জনপ্রিয়তা; সহপাঠ্যক্রমে সম্পৃক্ততা ও বিশেষ কৃতিত্ব; পাঠ পরিকল্পনা অনুসারে পাঠদান দক্ষতা; যে বিষয়ে শিক্ষা দেন সে বিষয়ে শিক্ষকের দখল; ভাষা শিক্ষাদানে যথাযথ কৌশল; প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা এবং কর্মকেন্দ্রিক পাঠদানে দক্ষতা; স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও ব্যবহার; শিখন শেখানো কার্যাবলিতে উপকরণ ব্যবহারে দক্ষতা; শিখন শেখানোতে শিক্ষকের বাচনভঙ্গি ও পাঠ বুঝানোর কৌশল; পাঠদানে আনন্দদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি; শিশুদের নাম ও পারিবারিক পরিচিতি জানা এবং স্নেহ করা ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ যত্ন প্রভৃতি।