নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালঃ জেলার মুলাদী মহিলা কলেজটি ১০ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি। ২০১৩ সালে মুলাদী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আলহাজ আব্দুল জব্বার খান ৭৫ শতাংশ জমি দান করে প্রতিষ্ঠা করেন কলেজটি।
২০১৩ সালে কলেজটি শিক্ষামন্ত্রণালয় ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে স্থাপন ও পাঠদানে অনুমতি লাভ করে। ২০২২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিত পাঠদানের অনুমতি নবায়ন ও ২০২৪ সাল পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি রয়েছে। ২০১৬ সালের এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম বছরই উপজেলার সাতটি কলেজের মধ্যে গড় পাসের হারে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে। বর্তমানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ২২৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২১ সালে বিশেষ বরাদ্দ পাওয়া এক লাখ টাকার সাথে যুক্ত করে ছয় লাখ টাকা দিয়ে ভবনের দোতলায় দু’টি কক্ষ নির্মাণসহ উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। গত ১০ বছরেও কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইবরাহীমসহ ১১ জন শিক্ষক ১০ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য।
প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বার খান বলেন, আমি কৃষক মানুষ, অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরেছি। এলাকার গরিব, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের জন্য কলেজে ৭৫ শতাংশ জমি ও ভবন করেছি। কলেজের আওতাধীন লোক সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এ অঞ্চল থেকে অন্য কলেজে পড়তে গিয়ে অনেক ছাত্রীই বখাটে ছেলেদের উৎপাতে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে।
হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ রাস্তা কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কাদা-পানিতে ছাত্রীদের পক্ষে কলেজে আসা-যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তারপরও মুলাদী মহিলা কলেজের পড়ালেখার মান ভালো হওয়ায় দুর্গম এলাকা থেকে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। কলেজটি এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষার মান বাড়বে এবং মেয়েরা শিক্ষায় এগিয়ে আসবে। মানবেতর জীবন থেকেও ফিরে আসবে শিক্ষকসহ কর্মচারীরা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১২/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়