পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে অভিযোগ, এনসিটিবির দাবি ভিন্ন

ঢাকাঃ নভেম্বরের মধ্যে সব পাঠ্যবই প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার কথা থাকলেও এখনো ছাপানো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে বইয়ের মান নিয়ে। মুদ্রণ শিল্প সমিতি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। যদিও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে মান ধরে রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বছর শেষ হতে থাকলেই ব্যস্ততা বাড়ে ছাপাখানায়। যাতে সঠিক সময়ে নতুন পাঠ্যবই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছায়। এবার নির্বাচন সামনে থাকায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নভেম্বরের মধ্যেই সব শ্রেণির বই জেলা-উপজেলায় পৌঁছে দিতে চেয়েছিল।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকের বেশিরভাগ বই ইতোমধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভিন্ন ভাষার পাঠ্যবইয়ের মুদ্রণও শেষ হয়েছে। তবে সে তুলনায় মাধ্যমিকের বই ছাপানোর কাজ এগোয়নি। এখনো অষ্টম শ্রেণিরটা চলমান। আর নবমের ওয়ার্ক অর্ডারই হয়েছে ৭ নভেম্বর।

এদিকে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে বইয়ের মান নিয়ে। খুবই নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানোর জন্য অগ্রণী, কচুয়াসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অভিযোগ জমা পড়েছে।

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি সভাপতি শহীদ সেরানীয়াবাত বলেন, আমরা কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে বইয়ের কাগজের মান নিয়ে অভিযোগ করেছি এবং পর্যালোচনা করার পরামর্শ দেই। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখেও না দেখার অভিনয় করেন।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, গতবারের চেয়েও এবারের বইয়ের মান ভালো। এ বছর দুই থেকে তিনজনের এ রকম প্রবণতা শুনতেই আমরা তাদের কাজ বিনিষ্ট করে দিয়েছি। আমরা তাদের বইগুলো নেইনি। মাঠপর্যায়ে গেলে দেখা যাবে আমরা মাধ্যমিকের বই এখনো কাঙ্ক্ষিত মানের মধ্যেই রেখেছি। শুধু অষ্টম এবং নবম শ্রেণির বই নতুন করে লেখার কারণে আমাদের কাজটা একটু দেরি হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/১১/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়