নিউজ ডেস্ক।।
পাচারকারীকে সব করতে হয়। তাই বলে প্যান্ট ভর্তি সাপ-টিকটিকি! ভয়ডর নেই নাকি? ঘটনা বিশ্বাস করাই কঠিন। তবু এটাই সত্যি। প্যান্টের মধ্যে ৬০টি সাপ-টিকটিকি লুকিয়ে পাচার করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ধরা পড়েছেন এক ব্যক্তি। প্রায় ছয় কোটি টাকার প্রাণী পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুঃসাহসিক ওই পাচারকারীকে। পুলিশের ধারণা, বিচারে কয়েক দশেক জেলে কাটাতে হতে পারে অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত পাচারকারীর নাম জোস মানুয়েল পেরেজ। তার বাড়ি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায়। বেশ কয়েক বছর ধরেই বন্যপ্রাণী পাচারের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল সে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মেক্সিকো ও হংকং থেকে একাধিক পাচারচক্রের সহযোগিতায় সাপ, টিকটিকি, গিরগিটি, কচ্ছপ, কুমিরের মতো প্রাণী ক্যালফোর্নিয়ার নিজের বাড়িতে আনাত। এরপর তা গোটা বিশ্বের ক্রেতাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করত। তার বিরুদ্ধে মোট এক হাজার ৭০০টি প্রাণী পাচারের অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম ছয় কোটি টাকার বেশি বলেই ধারণা তদন্তকারী আধিকারিকদের।
চলতি বছরের মার্চ মাসে পুলিশ ও শুল্ক দফতরের ফাঁদে পড়ে পেরেজ। এবার মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আমেরিকায় ঢোকার সময় হাতেনাতে ধরা হয় তাকে। শুরুতে অবশ্য কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। পরে দেখা যায়, পেরেজের পরনের জামা-প্যান্টের মধ্যে লুকানো রয়েছে অসংখ্য প্রাণী। কেবল প্যান্ট থেকেই বের হয় ৬০টি সাপ ও টিকটিকি। ছোট সাইজের প্রাণী হওয়ায় প্রথমটায় বোঝা যায়নি। ঘটনায় চমকে যান পুলিশ ও শুল্ক দফতরের কর্মকর্তারা।
সব কয়টি প্রাণীকে পেরেজের জামাকাপড় থেকে বের করার পর দেখা যায় তিনটি সাপ মারা গেছে। পুলিশ ও শুল্ক দফতর জানিয়েছে, বন্যপ্রাণী পাচারে দুটি আলাদা মামলায় ২০ বছর ও পাঁচ বছরের জেল হতে পারে অভিযুক্তের। আগামী ডিসেম্বর মাসে এ সংক্রান্ত রায় দেবে আমেরিকার আদালত। ইন্টারনেট।