গাইবান্ধাঃ জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিদ্যালয়ের সৌচাগার পরিষ্কার করিয়ে নেন বলে অভিযোগ আছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৫৬ জন অভিভাবকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দিয়েছে স্থানীয়রা। এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্বও রয়েছে। এতে বিদ্যালয়টিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব অনিয়মের তদন্তের দাবিতে বিদ্যালয় সংলগ্ন গোপীনাথপুর বাজারে এলাকায় এক মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। এতে বক্তব্য দেন, মিজানুর রহমান, হারুন মিয়া, সাগর মিয়া, আসাদুজ্জামান, রেজাউল করিম ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন রেশমা বেগম। তবে তার বিরুদ্ধে আছে অভিযোগের পাহাড়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়টিতে ইতিপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় দিবস সমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হলেও বর্তমানে তা হচ্ছে না। দিবস গুলোর বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্য ভাগবাটোয়ারা নিয়ে থাকে। বিদ্যালয়ে শহীদ নির্মাণের বরাদ্দকৃত অর্থ এবং পরিত্যক্ত টিন, রড, ইট ও পুরাতন বইসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগম। এক সময় এ বিদ্যালয়ে ৪০০-৪৫০ শিক্ষার্থী ছিল কিন্তু পর্যায়ক্রমে আজ ১৮০ জন।
এ নিয়ে চলতি বছরের গত ২৬ জুলাই পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে অদ্যাবধি তার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ দিকে মানববন্ধন চলাকালে গণমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে বিনা কারণেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছিমা বেগমের ছেলে নাজিবুর রহমান নয়ন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগম বলেন, আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসাতে কিছু স্থানীয় ব্যক্তি এটি করেছে।
শিক্ষকের মধ্যে দ্বন্দ্বের সত্যতা স্বীকার করে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হাই মণ্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। একটি অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অন্যটি তদন্ত চলছে।
এসব বিষয়ে পলাশবাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান ফোনে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৮/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়