ঢাকাঃ পড়াশোনার জন্য যেতে হবে স্কুলে। আর স্কুলে প্রত্যেক মাসে ফি দিতে হবে। এই ফি হিসেবে আমরা টাকা দেই, এটাই তো স্বাভাবিক। তবে এমনটা হয়তো শোনেননি। স্কুলের ফি বাবদ দিতে হয় প্লাস্টিকের বোতল।
এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের আসামের একটি স্কুল। আসামের রাজধানী গুয়াহাটির গোরচুক এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলে পড়াশোনার ফি হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য নেওয়া হয়। প্রতি সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থীকে প্লাস্টিকের ২৫টি বোতল জমা দিতে হয়।
তেমজেন ইমনা আলং নাগাল্যান্ডের পর্যটন ও উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য অক্ষর ফাউন্ডেশনের তৈরি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখান থেকেই বিষয়টি সবার নজড়ে উঠে এসেছে। খবর এনডিটিভির।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে গড়ে তোলেন পারমিতা শর্মা ও মাজিন মুখতার নামের এক দম্পতি। তারা দেখলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে দুটি চ্যালেঞ্জ, তা হলো অত্যধিক আবর্জনা ও নিরক্ষতা। দুটি সমস্যা একসঙ্গে সমাধান করতে তারা এই স্কুল গড়ে তোলেন। এখানে শিশুরা প্রতি সপ্তাহের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল জমা দিতে পারলে বিনা বেতনে পড়তে পারবে। এভাবে জমা বোতলগুলো এখন ইট, সড়ক এমনকি শৌচাগার নির্মাণেও ব্যবহার করা হচ্ছে। স্কুলের পুরোনো শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে অর্থ উপার্জনও করতে পারে।
বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। তাদের বয়স ৪ থেকে ১৫ বছর। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা তারা।
২০১৩ সালে মাজিন নিউইয়র্ক থেকে একটি স্কুল প্রজেক্টের জন্য ভারতে আসেন। তখনই কাজের সূত্রে পারমিতার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পারমিতা তখন টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী।
মাজিন বলেন, ‘বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া অনেক শিক্ষার্থী ছোটবেলা থেকেই কারখানা ও পাথরের কোয়ারিতে খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করে। আমরা ভাবলাম, এমন একটি স্কুল তৈরি করব, যা তাদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি আর্থিক প্রয়োজনটা মেটাবে।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়