নিয়োগ নিয়ে কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বিকে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তিন কর্মচারী নিয়োগ কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার শরণখোলা প্রেসক্লাবে দুপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খান মতিয়ার রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া গত ২৯ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটির মধ্যে গোপনে একজন পরিচ্ছন্নকর্মী, একজন নৈশপ্রহরী ও একজন নিরপত্তাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন। গত মঙ্গলবার কমিটির সভায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মীর নজরুল ইসলাম ও কমিটির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন উত্তেজিত হয়ে তার ওপর চড়াও হন।
তার অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজশে তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ১৫ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বিকে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নজরুল ইসলাম ও সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান খান বিদ্যালয়টির প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। তার সময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান নিয়োগে তার মাদকাসক্ত ছেলে মাসুদ ও ভাইয়ের স্ত্রী আরিফাকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন।
তিনি দাবি করেন, কমিটির সভায় মতিয়ার খানের ওই প্রস্তাবে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। একপর্যায়ে তার মাদকাসক্ত ছেলে মাসুদ তার সহযোগীদের নিয়ে সভাকক্ষে প্রবেশ করে বিভিন্ন গালাগালসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সভা পণ্ড করার চেষ্টা চালায়। মূলত তার ছেলে ও ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি বেসামাল হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের কাল্পনিক অভিযোগ দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এবং খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।