পাবনাঃ জেলার সাঁথিয়া হুইখালি বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের নিয়োগ বাণিজ্যে ও ‘অবৈধ’ ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে বর্তমান সভাপতি নির্বাচিত করাকে অবৈধ বলে হাইকোর্টে রিট করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জাহিদ আলী মীর।
অভিযোগে জানা গেছে, গত মে মাসে হুইখালি বাংলা স্কুল এন্ড কলেজে সহঃ প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্ন কর্মী ও আয়া পদে ৪ জন জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৪ মাস পর প্রবেশ পত্রে ৭ অক্টোবর তারিখ লেখা থাকলেও ১০ অক্টোবর প্রবেশ পত্র তৈরি করে অংশগ্রগণকারীদের হাতে হাতে দেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাহাতে ১৩ অক্টোবর পরীক্ষার তারিখ লেখা থাকে।
এ দিকে ১৩ অক্টোবর যাদের নিয়োগ দিবেন শুধু তাদেরকে এবং সাথে ডেমী প্রার্থীকে প্রবেশ পত্র দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী পরীক্ষা শুরুর আগেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে নিয়োগ বানিজ্য ও অবৈধ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
এ সময় পরীক্ষা নিতে আসা ডিজি’র প্রতিনিধি হিসাবে পাবনা জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ও প্রধান শিক্ষকসহ জনরোষে পড়েন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তৃপক্ষ থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এক পর্যায়ে পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাৎক্ষনিক একটি নোটিশের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীদেরকে জানিয়ে দেয়া হয় যে অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার স্থান ও সময় এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে নতুন করে কোন প্রবেশ পত্র দেয়া হবে না বলেও চিঠিতে জানিয়ে দেয়া হয়।
এ দিকে বর্তমান সভাপতিকে অবৈধ দাবী করে সাবেক সভাপতি জাহিদ আলী মীর প্রয়োজনীয় তথ্যসহ হাইকোর্ট এ রীট করেন। মহামান্য হাইকোর্ট গত ২৩ মে ২০২৩ ইং তারিখে বর্তমান সভাপতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জাহিদ আলী মীরকে কেন সভাপতি করা হবে না এই মর্মে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন সাবেক এই সভাপতি বলেন, প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টের জবাব না দিয়ে প্রায় ৫মাস পর হঠাৎ তরিঘরি করে নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে প্রার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে তা স্থগিত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা প্রার্থীরা জানান, নিজেদের পছন্দের সহঃ প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, অফিস সহায়ক আতিকুল, পরিচ্ছন্ন কর্মী সজিব ও আয়া পদে শাপলাকে নিয়োগ দেয়ার জন্যই ১০ তারিখে হাতে হাতে প্রবেশ পত্র দিয়ে ১৩ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন,আমার জানামতে প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টের চিঠির জবাব দিয়েছেন।
হুইখালি বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শিহাব উদ্দিন নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোন নিয়োগ বানিজ্য হচ্ছে না । সরকারী নিয়ম মেনে নিয়োগ দেয়া বা পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি হাইকোর্টের চিঠির জবাব দিয়েছি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়