নিজস্ব কর্মস্থলে নেই: দুই ডজন শিক্ষকের অন্য বিদ্যালয়ে পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাদারীপুরঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজ করে মাদারীপুরের শিবচরে অন্তত দুই ডজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক তাদের পদায়নকৃত বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা না করে তাদের সুবিধামতো বিদ্যালয়ে পাঠদান করছে, কেউবা বিদ্যালয়ে না গিয়েও নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৯০ নম্বর আসিম বেপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য যোগদান করা আবুল হোসেন নামের অনভিজ্ঞ একজন শিক্ষক চালাচ্ছেন বিদ্যালয়টি। ওই বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক মাতৃত্ব ছুটিতে থাকায় এবং অপর শিক্ষক মাহফুজা সুলতানা নিজের খেয়াল-খুশি মতো তার বাড়ির কাছে গুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ করছে। মাহফুজা সুলতানার মুল স্কুল আসিম বেপারী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু ১ জন শিক্ষক থাকলেও গুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগেই ছিল ১০ জন শিক্ষক তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত মাহফুজা সুলতানা।

অপরদিকে যোগদাহের মাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম তার সুবিধামতো ক্রোকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, সহকারী শিক্ষক পরম মনি মজিদ সরদারে কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয ছেড়ে টেংরামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, সুরমী আক্তার ৪নং শেখপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদায়নকৃত হলেও কাজ করছে মির্জাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা শিক্ষা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শিবচরের অনেক শিক্ষক নেতা এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তারা নিজেরাও দুর্নীতি করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষকদের এসব কাজে সুযোগ দিয়ে থাকেন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, আমি জেলায় নতুন যোগদান করেছি। অপরদিকে শিবচর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আসলামও সদ্য যোগদান করেছেন। আমার বিভাগে এসব অনিয়ম দুর্নীতি চলতে দেওয়া হবে না।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৩/২০২৩  

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়