নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার মাদ্রাসা শিক্ষক ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন

মোঃ জিয়াউর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা মাদ্রাসার শিক্ষক আল-আমিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পর্ণোগ্রাফিতে আসক্তি থেকেই একের পর এক কোমলমতি মাদ্রাসার ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাউসার আলমের আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। ৫ দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে তার স্বীকারোক্তিতে এ কথা বলে।
গত ৪ জুলাই ফতুল্লার ভুইগড় মাহমুদনগর পাকার মাথা এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মোঃ আল আমিনকে এক শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১’র একটি টিম। তাকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানানয়, গত এক বছরে তার লালসার শিকার হয়েছে ১২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। যারা তার মাদ্রাসার দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে গ্রেফতারের পর র‌্যাবের পক্ষ থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি এবং ঘটনার শিকার শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়। র‌্যাবের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। রিমান্ডের শেষ দিনে সে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিল।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, রিমান্ডের শেষ দিনে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।