নাজিরপুরে চাকরি হারালেন স্কুলের নৈশপ্রহরী কাম-দপ্তরী

পিরোজপুরঃ জেলার নাজিরপুরে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কাম-দপ্তরীকে নিয়োগের চুক্তি বাতিল এবং চাকুরি থেকে অব্যহতির নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।

গত ২৪ আগষ্ট উপজেলার ২৭নং মুগাঝোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কাম-দপ্তরী জুবায়ের হোসেন সোহেলের বিরু‌দ্ধে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত নৈশ্যপ্রহরী কাম-দপ্তরী জুবায়ের হোসেন সোহেল উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামের মোঃ ওবায়দুল ইসলামের ছেলে।

এ বিষয়ে উক্ত শিক্ষার্থীর নানী চম্পা বেগম গত ৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগষ্ট অভিযুক্ত জোবায়ের হোসেন সোহেল আমার নাতনীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় যেতে বললে আমার নাতনী বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিমুল ও লিমা ম্যাডামকে জানালে তারা যেতে বলে। আমার নাতনী সেখানে গেলে জোবায়ের আমার নাতনীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষনের চেষ্টা করে।

এসময় আমার নাতনী চিৎকার দিলে ঘটনাস্থলে বিদ্যালয়ের ওই দুই সহকারি শিক্ষিকা উপস্থিত হয়, পরবর্তীতে অভিযুক্ত জোবায়েরের সাথে উক্ত দুই শিক্ষিকা আলাপ-আলোচনা করে আমার নাতনীকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।

এবিষয়ে সহকারি শিক্ষক শিমুল বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।

এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদ হোসেন বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ম‌হোদয় ঘটনার তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে তদন্ত রির্পোট প্রেরণ ক‌রে। জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযুক্ত নৈশ্যপ্রহরী কাম-দপ্তরী জোবায়ের হোসেন সোহেলকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নিয়োগ চুক্তি বাতিল এবং চাকুরি থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য জন্য আমাকে চিঠি দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের এস এম সি কমিটির সভাপতি মাসুদ রানা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে অভিযুক্ত জোবায়ের হোসেন সোহেলকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নিয়োগ চুক্তি বাতিল এবং চাকুরি থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে দু’একদিনের মধ্যেই এস এম সি কমিটির সকল সদস্যকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করব।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার জানান, আমি অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত বিদ্যালয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি এবং আমার উর্দ্ধতন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। অভিযুক্ত নৈশ্যপ্রহরী কাম-দপ্তরী জোবায়ের হোসেন সোহেলকে তিনি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নিয়োগ চুক্তি বাতিল এবং চাকুরি থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৩     

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়