ঢাকাঃ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে পাইলিংয়ের পর। এছাড়া, আনন্দমোহন কলেজের একটি একাডেমিক ভবনের কাজও বন্ধ হয়ে গেছে তদারকির অভাবে। এর আগে, রাজধানীর ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষ না করেও ঠিকাদাররা বিল পেয়ে গেছেন। এমন অনিয়মের সাথে ১০ জন প্রকৌশলীর যোগসাজশ মিলেছে। কিন্তু এক বছরেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২০২০ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২৯ কোটি টাকায় সেটি নির্মাণের দায়িত্ব ছিলো শিক্ষা প্রকৌশলের। কিন্তু ৭০ লাখ টাকা খরচ করে পাইলিংয়ের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
সে জায়গাটি এখনও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এত খরচের পর আগের প্রকল্প বাদ দিয়ে আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে প্রক্রিয়াও শুরু করতে পারেনি শিক্ষা প্রকৌশল। আগে, আরেকটি ১৩ তলা ভবন নির্মাণেও ত্রুটি পাওয়া যায়।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, এই ভবনটির কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হলে আমাদের জন্য ভালো হত। ভবন সংকটের কারণে পরীক্ষার খাতাসহ নানা জিনিস রাখতে সংকটে পড়তে হচ্ছে।
ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের ১০ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ শুরুর পর, তদারকির অভাবে বন্ধ থাকে ২ বছর।
আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ বলছেন, আবার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজ চলছে ধীর গতিতে।
কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া, ভবনের নকশায় ত্রুটি সব অনিয়মের দায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের। এসব ক্ষেত্রে তদারকির অভাব দেখছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু আগেই বিল উঠিয়ে নিয়েছেন ঠিকাদাররা। তদন্তে উঠে এসেছে, ঢাকা মেট্রোর ১০ জন সাবেক প্রকৌশলী তাদের সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু বিচার হয়নি কারো।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে আছে। মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হবে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়মের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কাজে গতি আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েক দফা নির্দেশ দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। সূত্রঃ ইনডিপেন্ডেন্ট
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়