ধার করা শিক্ষক দিয়ে চলছে সরকারি প্রাথমিকের পাঠদান

দিনাজপুরঃ  ধার করা শিক্ষক দিয়ে চলছে জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাদাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। এখানে লেখা পড়ার মান ভালো হলেও শিক্ষক সংকট দীর্ঘদিন থেকে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের স্বদিচ্ছার অভাবে যেনোতেনো ভাবে চলছে বিদ্যালয় কার্যক্রম।

জানা গেছে, ১৯৫২ সালে খোদাদাতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। গত ১০ বছর পূর্বে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি হাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ। বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত টিনসেটের ভবনটি ভেঙে সেখানে বহুতল ভবন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগে সকল সমস্যার সমাধান সহ আনন্দঘন পরিবেশে ফিরে আসবে বলে দাবি অভিভাবক মহলের। বিদ্যালয়টি উপজেলার সদরে হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, অন্যান্য স্কুল-কলেজের শিক্ষক, এমনকি ভ্যান-রিস্কাওয়ালা, দিনমজুরের সন্তানরাও এখানে পরাশুনা করে। এ স্কুলটি প্রায় সাড়ে ৪০০ বাচ্চারা লেখা পড়া করে। স্কুলটির এত বড় প্লাটফর্ম হওয়ায় শিক্ষক থাকার কথা ছিলো কমপক্ষে ১০-১২ জন। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৬ জন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম।

আরো জানা গেছে, বিদ্যালয়টি উপজেলার ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিবারই সফলতা দেখিয়ে আসছে। কিন্তু এর সমস্যা সমাধানে জেলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। অপরদিকে অন্য বিদ্যালয় থেকে কিছুদিনের জন্য এই বিদ্যালয়ে কোনো ভালো শিক্ষককে পাঠদানের জন্য নিয়ে আসা হলেও পিছিয়ে পরছে ওই সমস্ত বিদ্যালয়গুলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, প্রায় ৪৫০ জন ছাত্রছাত্রী জন্য মাত্র ৬ জন শিক্ষক তার মধ্যে ধার করা শিক্ষকই ৩ জন। প্রধান শিক্ষক সহ আমাদের প্রত্যেককে ৯-১০টি করে ক্লাস নিতে হয়। শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীর পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখানে নতুন কোন শিক্ষক আসতেও চায় না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে আমি সহকারী শিক্ষিকের পদ সমন্বয়ের অনুমোদনের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও অধিদপ্তরে কাগজপত্রাদি প্রেরণ করেছি। নতুন ভবনের ব্যাপারে এই মুহূর্তে কিছু জানি না। অপরদিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াখিল জানান, ওই প্রাথদিকসহ মোট চারটি বিদ্যালয়ে একটি করে অফিস কক্ষের বরাদ্দ এসেছে। নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা টেন্ডার ও কার্যাদেশের অপেক্ষায় আছি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/১০/২০২৩    

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়