পটুয়াখালীঃ কক্ষ মাত্র দুটি। আর এতেই চলছে স্কুলের দাপ্তরিক কাজসহ সব ক্লাসের পাঠদান। এতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। এ চিত্রটি পটুয়াখালীর মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
১৯৯৮ সালে নির্মাণ করা হয় বিদ্যালয়টির তিন কক্ষের ভবন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এর পাশেই ২০১০ সালে নির্মাণ করা হয় আরও একটি দুই কক্ষের ভবন কাম সাইক্লোন সেল্টার। করোনাকালীন সময়ে পুরনো তিন কক্ষের ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে সাইক্লোন সেল্টার ভবনটিও হয়ে পড়েছে জরাজীর্ণ। সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে।
তারপরও শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ শ্রেণির ১৯৩ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে সাইক্লোন সেল্টারের সেই জরাজীর্ণ দুই কক্ষে। আর স্কুলের দাপ্তারিক কাজও চলছে এই ভবনে। এছাড়া স্কুলটিতে রয়েছে চেয়ার টেবিলের সংকট। তাই শিক্ষার্থীদের সাইক্লোন সেল্টারের বারান্দা এবং ফ্লোরে দুই শিফটে দেওয়া হচ্ছে পাঠদান। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।
এই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবেয়া জানায়, এলাকার বেশির ভাগ স্কুলেই সকালে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু এ স্কুলে ক্লাস শুরু হয় দুপুর ১২ টায়। রুম সংকট থাকার ক্লাস হয় বারান্দায়। বৃষ্টিতে অনেক সময় বই খাতা ভিজে যায়।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহিন জানায়, অফিস কক্ষের ফ্লোরে বসে ক্লাস করে অনেক সময় পা ব্যথা হয়ে যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা বেগম জানান, কক্ষসহ আসবাবপত্র সংকটের বিষয়টি শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছি। শিক্ষা অফিস আমাদের জন্য সমস্যা সমাধানে উদ্যেগ নিলে আমাদের ভোগান্তি লাঘব হবে।
কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস বলেন, শুধু মোয়াজ্জেমপুর সরকারি বিদ্যালয়ই নয়, উপজেলার ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৬/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়