গাজীপুরঃ জেলার কাপাসিয়ায় বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতা মামলায় এক শিক্ষা কর্মকর্তা তিন বছর আগে মারা গেলেও তাকে মামলার ১৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলার সর্বত্রই এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা এবং রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে তুমুল ঝগড়া বিবাদ শুরুর খবর শোনা যাচ্ছে।
জানাযায়, কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন বাদী হয়ে। রোববার (২৯ অক্টোবর) কাপাসিয়া থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলায় আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামের মৃত আশরাফ আলী মোল্লার ছেলে আমিন উদ্দিন মোল্লাকে (৬৫) ১৮ নম্বর আসামি করেছে। মৃত আমিন উদ্দিন মোল্লা এক সময়ে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ বলেন, নামে-বেনামে যতোই গায়েবি মামলা আর যতই বাধা আসুক আমরা পেছনে ফিরছি না। হামলা ও মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙা যাবে না।
এ দিকে মৃত আমিন উদ্দিন মোল্লার জামাতা মোজাম্মেল হক বলেন, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি তার শ্বশুর আমিন উদ্দিন মারা যান। মারা যাওয়ার দুই বছর ৯ মাস পর তার শ্বশুরকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কাপাসিয়া সদরের তরগাঁও মেডিকেল মোড় এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত চারটি ও বিস্ফোরিত একটি ককটেল উদ্ধার হয়। এছাড়া চারটি পেট্রল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার এজাহারে আমিন উদ্দিন মোল্লার বয়স ৪৫ বছর উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া বলেন, ১৮ নম্বর আসামির বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়