তিন ধাপে ভর্তি শেষে এখনও ফাঁকা সাড়ে ১২ লাখ আসন

একাদশে ভর্তি

শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন তিন ধাপে শেষ হয়েছে। তিন ধাপে ভর্তি আবেদন শেষ হওয়ার পরেও এখনো সারাদেশের কলেজগুলোর মোট আসনের অর্ধেকই ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। এসএসসি পাস করা এসব শিক্ষার্থীদের ভালো কলেজে ভর্তির প্রতিযোগিতা এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তিন ধাপে ভর্তি আবেদন গত ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তিপ্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের উচ্চমাধ্যমিক পাঠদান করা সাত হাজার ৭০৬টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশে মোট আসন সংখ্যা ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৩টি। কিন্তু আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৬৬ জন। সেই হিসেবে সারা দেশের কলেজগুলোতে ১২ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি আসন খালি থাকছে, যা মোট আসনের ৪৯ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনলাইন আবেদনে কলেজ পছন্দ দিতে কৌশলী না হওয়ায় তারা জিপিএ-৫ পেলেও একাদশে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি শুরু হয়েছে। কলেজগুলোতে গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১৭ লাখ ৬২ হাজার শিক্ষার্থী। কলেজ ভর্তির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তাদের মধ্যে ১৩ লাখ ৬৬ হাজার কলেজ ও মাদ্রাসায় একাদশে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। নির্বাচিত হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৬৬ জন। আর আবেদন করেও নির্বাচিত হতে পারেননি ২২ হাজার ৬০৪ জন শিক্ষার্থী। নির্বাচিত হতে না পারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই হাজার ৮৪২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, কলেজ নির্বাচনে কৌশলী না হওয়ার কারণেই অনেক আসন ফাঁকা এবং একই সাথে অনেকে আবার ভর্তির সুযোগই পায়নি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবাই সেরা কলেজে পড়তে চায়। কিন্তু শিক্ষার্থী নিজবাড়ি বা আশপাশের প্রতিষ্ঠান নির্বাচন না করে ঢালাওভাবে বড় বড় কলেজে আবেদন করেছেন।

থাকছে চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগও

অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, নাম দেখে কলেজে ভর্তির আবেদন করায় অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাননি। তবে তারা চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ পাবেন। ফেব্রুয়ারির শুরুতে অনলাইনে চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আমরা কলেজগুলো থেকে তথ্য নেবো কোথায় কত সিট খালি আছে। সেই পরিপেক্ষিতে একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ক্লাস শুরু ১ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশি হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর। শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ ছিল ১-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ চলছিল ৯-১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল ও দ্বতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশিত হয় ১২ জানুয়ারি। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন হয়েছিল ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি।

তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণের সুযোগ ছিল ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল ও তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি। তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ ছিল ১৯ ও ২০ জানুয়ারি। ভর্তিপ্রক্রিয়া ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। এরপর ক্লাস শুরু হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।

ক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/২৭/২৩