জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত, হাতিয়ে নেয়া হয়েছে কোটি টাকা

যশোরঃ জেলার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার নামে তাদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মডেল মাদরাসার সুপার কামরুল ইসলাম একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ কাজ করছেন বলে জানা গেছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তিকরণ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। সম্প্রতি তিনি এমপিওভুক্তির কাজে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিনিয়তই ছুটাছুটি করছেন এবং সেখান থেকেই তিনি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে থাকেন বলে সূত্র জানায়।

অভিযোগ উঠেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা, ভাঙ্গুড়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মাদরাসা সুপার কামরুল ইসলাম। তিনি প্রায় প্রতিদিনই যশোর জেলা শিক্ষা অফিসে এসে নানা ধরনের তদবির চালাচ্ছেন। এ কাজে তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেন শিক্ষা অফিসের এক প্রধান সহকারী। তিনি শিক্ষা অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার দায়িত্ব নেন।

এ বিষয়ে সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, আমি রাধানগর মাদরাসার বিদ্যোৎসাহী সদস্য। সভাপতির সাথে একটি নিয়োগ নিয়ে ঝামেলা তৈরি হওয়ায় একটি পক্ষ এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। তারাই ভালো বলতে পারবেন।

বাঘারপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, জাল কাগজপত্রের বিষয়টি আমাদের যাচাই বাছাইয়ে ধরা পড়েনি। তারপরও সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করলে আরো ভালো করে খতিয়ে দেখা হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন বলেন, আমি ওই নামে কোনো শিক্ষককে চিনি না। তা ছাড়া মাদরাসার এমপিওভুক্তির বিষয়টি এখন আর জেলা শিক্ষা অফিসে নেই। আমরা এ কাজ উপজেলায় পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানেই সব কিছু হয়। সূত্রঃ নয়াদিগন্ত

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৬/০৮/২০২৩   

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়