ছাত্রীদের দিয়ে শরীর ম্যাসেজ করান সহকারী শিক্ষক মাওলানা এনায়েত!

পটুয়াখালীঃ জেলার দশমিনা উপজেলার দক্ষিণ দাশপাড়া আব্দুল গনি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা এনায়েত হোসেন এর বিরুদ্ধে সুপারের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেও বিচার না পেয়ে ওই শিক্ষকের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন মাদ্রার ছাত্রীরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে মাদ্রাসার ছাত্রীদের মাঝে।

মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী জানান, মাওলানা এনায়েত হোসেন ক্লাসে এসে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন এবং বিভিন্ন প্রকার যৌন উত্তেজক কথা বলেন। এ ছাড়াও তিনি ক্লাসে বসে ছাত্রীদের দিয়ে তার শরীর ম্যাসেজ করান এবং লাঠি দিয়ে না মেরে হাত দিয়ে মারেন ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এসব ঘটনায় এক সপ্তাহ আগে ছাত্রীরা মাদ্রাসা সুপারের কাছে মাওলানা এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ওই শিক্ষকের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সভা করে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা এনায়েত হোসেন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার মাদ্রাসার কয়েকজন সহকর্মী আমার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ক্ষেপিয়ে তুলছে এবং বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানান।

মাদ্রাসার সুপার কাজী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগের ওপর শুনানি শেষে মাওলানা এনায়েত হোসেনকে ছাত্রীদের ক্লাসে আর না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, বিষয়টি মাদ্রাসার সুপার আমাদের জানালে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাদ্রাসার সভাপতি মোসা. লাইজু বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা জানান, আমি নিজে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৭/১০/২০২৩    

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়