ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করলেন প্রধান শিক্ষক, হাসপাতালে ভর্তি

কক্সবাজারঃ জেলার টেকনাফের সাবরাংয়ে আলীর ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে স্টিলের স্কেল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিটের অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের শিক্ষক ছৈয়দ আহমদ এর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক ছৈয়দ আহমদ ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলে জানা গেছে।

আহত ছাত্রী আয়েশা সুলতানা ওই স্কুলের ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। সেই টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বিষয়টির যতাযত প্রতিকার চেয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনাফ মডেল থানা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষার্থীর পিতা আবুল কালাম। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল কালাম বলেন, আমাদের সাথে ছৈয়দ আহমদ মাস্টারের পূর্ব শত্রুতার রয়েছে। তারই জের ধরে মূলত প্রতিশোধ নিতে আমার ছোট অবুঝ মেয়েকে এভাবে বেধড়ক মারধর করছে। যা নিয়ম বহির্ভূত। একজন শিক্ষক অবশ্যই মারতে পারে কিন্তু ওই শিক্ষক ২০/ ২৫ টি স্টিলের স্কেল দিয়ে মারপিট অবশ্যই উদ্দেশ্যপূর্ণদিত। আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসারে নিকট বিনীত অনুরোধের পাশাপাশি বহিষ্কার দাবি জানাচ্ছি। কারণ একজন শিক্ষক এর আচরণ এমন হতে পারে না।

ভুক্তভোগী আহত শিক্ষার্থী আয়েশা বলেন, আমি ও আমার সহপাঠী সুমাইয়া বিদ্যালয়ের কক্ষে হাটাহাটি-খেলাধুলা করছিলাম। তাৎক্ষণিক ছৈয়দ আহমদ স্যার হঠাৎ এসে তার হাতে থাকা স্টিলের স্কেল দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি এর যথাযত বিচার চাই। আমি বর্তমানে অসুস্থ হয়ে খুবই আতঙ্কে রয়েছি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় কারণ আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ায় আমার পরিবারকে মারধরের হুমকিও দিচ্ছে তিনি।

অভিযুক্ত শিক্ষক মাস্টার ছৈয়দ আহমদের নিকট ছাত্রী’কে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি মাত্র কয়েকটি পিটিয়েছি। শিক্ষার্থী পিতার সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। তরে একটি পক্ষ সমাধান করতে দিচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরও অভিযোগ দিয়েছে তারা। তবে থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নয়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবায়ের সৈয়দ নিকট শিক্ষক কতৃক ছাত্রীকে মারপিঠের অভিযোগে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আদনান চৌধুরী বলেন, শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ওই শিক্ষার্থীর পিতার বিরুদ্ধেও মিমাংসা জন্য টাকা খুঁজছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/১০/২০২৩    

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়