ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক গা-ঢাকা দিয়েছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লতিফপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওইদিন ছুটির ঘণ্টা বাজার কিছুক্ষণ আগে শিক্ষার্থীরা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছিল। এসময় শরীরচর্চা শিক্ষক মেহেদী হাসান তুষার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয় ভবনের চারতলায় একটি কক্ষে যেতে বলেন। ছাত্রীটি ওই কক্ষে যাওয়ার পরই তিনি দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণচেষ্টা চালান। ধস্তাধস্তি ও ছাত্রীর চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী দৌড়ে চারতলায় যায়। পরে শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার বাড়ি পৌঁছে দেয়। বর্তমানে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলে, ‘ওইদিন আমরা কম্পিউটার ক্লাস করিনি। তাই কয়েকজন মিলে চারতলায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তাকে নিয়ে তুষার স্যার রুমে ঢুকছেন। পরে আমরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে রুমের কাছে যাই। গিয়ে এ অবস্থা দেখে আমরা চিল্লাচিল্লি শুরু করলে স্যার তাকে ছেড়ে দিয়ে বের হয়ে আসেন।’

ছাত্রীদের অভিযোগ, শিক্ষক মেহেদী হাসান ছাত্রীদের শরীরে হাত রেখে কথা বলতেন। এ কারণে তারা ওই শিক্ষককে এড়িয়ে চলেন। এরআগে অনেক ছাত্রী তার কাছে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছে। লজ্জায় তারা কারও কাছে অভিযোগ করেনি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি এলাকায় নেই।