ছাত্রলীগ সভাপতিকে মারতে গাড়িতে তল্লাশী; থানায় জিডি

ইবি প্রতিনিধি-

ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল(ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের উপর হামলার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী গাড়িতে তল্লাশির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ৯টার দিকে ক্যাম্পাস পার্শবর্তী শেখপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ কর্মচারী অস্ত্রসহ কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে এই তল্লাশী করেছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, রবিবার সকাল ৮টায় ঝিনাইদহ থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। বাসগুলো ক্যাম্পাস পর্শবর্তী শেখপাড়া বাজারে আসলে বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দ্দারসহ ৪/৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গাড়িতে উঠে। এসময় তারা গাড়িতে ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনকে খুজতে থাকে। পরে তাকে না পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে যায়। এবিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এ ঘটনাকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার উপর হুমকি বলে মনে করছে শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের নেতৃত্বে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রাশিদ আসকারীর সাথে দেখা করেন তারা। এসময় তারা ঘটনা সাথে জড়িতদের দ্রæত শনাক্ত করে শাস্তির দাবি করেন। এর আগে তারা দলীয় টেন্টে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়।
পরে ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিন ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় ইলিয়াস জোয়ার্দ্দাকে বিবাদী করে সাধারণ ডায়েরী করে। ডায়েরী নং ১২৭০।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল নাসের বলেন, “বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার জন্যই বিশ^বিদ্যালয়ের গাড়িতে করে ক্লাস করতে আসে। কিন্তু মহাসড়কে এভাবে গাড়ি আটকে তল্লাশির ঘটনায় আমাদেরকে শংকিত করে তুলছে। আর একজন বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারী হয়ে অস্ত্র নিয়ে গাড়ি তল্লাশিটা কলংকজনক। আমরা জড়িতদের অতিদ্রæত শাস্তি দাবি করছি।”
এ ঘটনায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টরের নীরব ভুমিকা পালনের অভিযোগ করে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ‘আমাকে মারার জন্য বিশ^বিদ্যালের গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে শুনে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমানকে ফোন করি। এসময় তিনি আমাকে বলেন যে, এটা ক্যাম্পাসের বাহিরের ঘটনা। আমার কিছু করার নেই।’
এদিকে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস জোয়ার্দ্দার বলেন ‘আমার সাথে শাহিনের রাজনৈতিক বিষয়ে পূর্বের কিছু ঝামেলা ছিল।