চাকরির কথা বলে টাকা ও জমি আত্মসাতের অভিযোগ

মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জঃ জেলার পাকুন্দিয়ায় একটি মহিলা মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক নারীর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা ও ৭৪ শতাংশ জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার দুপুরে পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন আঙ্গিয়াদী আদিত্যপাশা গ্রামের জোসনা আক্তার। তাঁর দাবি, বর্ষাগাতি বালিকা দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মহিবুর রহমান ও সুপার মো. নজরুল ইসলাম তাঁর টাকা ও জমি আত্মসাৎ করেন।

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নানের স্ত্রী জোসনা আক্তারের পক্ষে তাঁর মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তাতে বলা হয়, ২০২১ সালে মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে আয়া পদে ও নাতবউ শান্তা আক্তারকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ওই মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। এ জন্য দুই দফায় তাদের (মাদ্রাসা সভাপতি ও সুপার) হাতে ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।

মাদ্রাসার স্বীকৃতির অজুহাতে মাদ্রাসার নামে ৩৪ শতাংশ জমির কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ৭৪ শতাংশ জায়গা লিখে নেন মাদ্রাসার সভাপতি মো. মহিবুর রহমান ও সুপার মো. নজরুল ইসলাম। কিন্তু দু’জনের চাকরি হয়নি। এখন টাকা ও জমি ফেরত চাইলে মহিবুর রহমান ও নজরুল ইসলাম গালাগাল এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। জোসনা আক্তার তাদের বিচার এবং জমি ও টাকা ফেরত চান।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মহিবুর রহমান ও সুপার নজরুল ইসলাম দাবি করেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার জন্য জোসনা আক্তার ৭৪ শতাংশ জমি দিয়েছেন। এর বিনিময়ে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী মো. আল ফারুক, প্রতিবেশী মো. সোয়েব মিয়া ও চরফরাদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. তাজউদ্দিন খান সম্রাট।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৩/০৯/২০২৩

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়