ঢাকাঃ ২০১১ সালের নিয়োগ ও পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকা করা হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষক যেদিনই যোগদান করুক, জন্মতারিখ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। ফলে চাকরিতে আগে যোগদান করলেও অনেকে জন্মতারিখে এক-দুই মাস এগিয়ে থাকায় তালিকায় তাদের এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকে পদোন্নতি নিতে আগ্রহী নন।
চাঁদপুরের গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি চাকরিতে আগে যোগদান করেছি। আমার পরে চাকরি পেয়ে যারা যোগ দিয়েছেন, তারা আমার চেয়ে এখন বেশি বেতন পাচ্ছেন। এখন আবার দেখছি গ্রেডেশনের তালিকায়ও তারা ওপরে। পদোন্নতিও তারাই পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘চাকরিতে যোগদানের তারিখ না ধরে জন্মতারিখ ধরে গ্রেডেশন তালিকা করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। বয়সে ছোট কিন্তু আগে চাকরি কেউ মেধার জোরে পেতেই পারেন। আবার অনেকে বয়স বেশি কিংবা সরকারি চাকরির বয়স শেষের দিকেও যোগ দেন। যিনি আগে যোগদান করবেন, তিনিই জ্যেষ্ঠ বিবেচিত হওয়া উচিত। তাহলে পদোন্নতি নিয়ে যে ঝামেলা, সেটাও কমতো। বয়স্করা দায়-দায়িত্ব নিতে চান না।’
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘নীতিমালা মেনেই আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রেডেশন করেছি। নীতিমালার বাইরে যাওয়ার তো সুযোগ নেই। একটু ঝামেলা তো আছেই। সেগুলো সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি দ্রুত প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সব পেশায়ই দায়িত্ব থাকে। একজন শিক্ষক চাকরিজীবন শুরু করবেন, ধীরে ধীরে ওপরে উঠবেন। জ্যেষ্ঠ একজন শিক্ষক, যিনি ৩০ বছর চাকরি করছেন, এখন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বগুলো পালন করতে পারবেন না, সেটা তো তার অক্ষমতা ও অদক্ষতা। হ্যাঁ, এখন যদি কারও ব্যক্তিগত ও শারীরিক সমস্যা থাকে, সেটা ভিন্ন কথা। স্বাভাবিক অবস্থায় দায়িত্ব নিতে না চাওয়াটা অগ্রহণযোগ্য এবং দুঃখজনক।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৮/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়