শিক্ষাবার্তা ডেস্ক :
শিক্ষক ছাত্র/ছাত্রী ও স্থনীয়দের থেকে খোজ নিয়ে জানা গেছে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলাধীন রুদ্রকর ইউনিয়নের চররোসুন্দী ইবতেদায়ী (প্রস্তাবিত) দাখিল মাদরাসাটি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এমনকি গত বছর ৫ম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করা সহ ৩ জন ছাত্র/ছাত্রী টেলেন্টফুল বৃত্তি পেয়েছে এবং জেডিসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ ২জন ছাত্র বৃত্তি পেয়েছে এবং চলতি বছর ৫ম সমাপনী পরীক্ষায় ২০জন ও জেডিসিতে ১৬ জন রেজি: করে লেখাপড়া চালিয়ে আসছে। যাদের পরীক্ষার রুটিন ও বের হয়েছে আগামী ১লা নভেম্বর ২০১৯ তারিখে পর্ক্ষীা শুরু হবে। অথচ গত ১৬/০৬/২০১৯ তারিখ থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতা সদর উপজেলার যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল তালুকদার ওরফে মামলা নজু তালুকদার মাদরাসার শিক্ষিকা কাকুলি ও জাকিয়া সর্দার ও লাইজুর সাথে অশোভনীয় ভাষায় গালাগালি করে মাদরাসা থেকে বের করে দেয় ও তাদেরকে মাদরাসার ধারে কাছে আসতে নিষেধ করেন আর আসলে তাদেরকে ঘরে যেতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়।
এ সময় প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস প্রতিবাদ করলে তাকে জানিয়ে দেয়া হয় এখানে চাকুরি করতে হলে প্রত্যেক শিক্ষকের ২ লক্ষ করে টাকা দিতে হবে অন্যথায় কিভাবে চাকুরি কর তা দেখিয়ে দিব আমাকে চিননা আমি বিএনপি করলেও স্থানীয় সকলেই আমার কথায় উঠে বসে। নজু তালুকদার আরো বলেন আমাকে তোমরা চিনতে ভুল করেছ আমার ক্ষমতা গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখনাই কিভাবে নৌকা মার্কাকে ডুবাইলাম । প্রধান শিক্ষক বলেন এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অত্র মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা জনাব আ. খালেক ঢালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, ১৯৮৪ সালে আমি মাদরাসাটির অনুমোদন এনেছি এবং কয়েক বার অনুদানের টাকাও শিক্ষকরা পেয়েছিল। এরপরে আর টাকা না পাওয়ার কারনে অনেক কষ্ট করে মাদরাসাটি চালিয়ে আসছিলাম । কিন্তু বেতন ভাতা বিহীন তৎকালিন শিক্ষকরা অন্যাত্র চাকুরি নিয়ে চলে যান যেহেতু অত্র ইউনিয়নের মধ্যে আর কোন সরকারী মাদরাসা নেই তাই শিক্ষার গুরুত্ব অনুভব করে আমাদের গ্রামের তরুন যুবক মেধাধী ছাত্র এমফিল গবেষক মাওলানা মো. ইউসুফ আলী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এ পড়া কালিন আমাকে সহ অনেককে বুঝিয়ে শুনিয়ে পুনরায় মাদরাসাটি চালু করেন। এবং নিজ থেকে শিক্ষকদের সামান্য বেতন ভাতা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় বিএনপি নেতা নজু তালুকদার এর কারণে গত ১৬/০৬/২০১৯ তারিখ থেকে মাদরাসাটি বন্ধ রয়েছে ছাত্র/ছাত্রীরা এসে ক্লাশ করতে না পেরে কান্না করে চলে যায়। তারা অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষাও দিতে পারেনি যাহা গত ২৩/০৬/২০১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল।
এপ্রসঙ্গে জনাব মো. ইউসুফ আলীর কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার । জাতির জনক বঙ্গ বন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার জন্য আজকে কত রকমের প্লান হাতে নিয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন । অথচ এমন সময় রুদ্রকর ইউনিয়নের একমাত্র সরকারী মাদরাসাটি ক্ষমতার কাছে পরাজিত যা মেনে নিতে কষ্ঠ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে, ২০১৮ সনের জুন মাসের ২৭ তারিখেও মাদরাসাটিতে তালা মেরে দিয়েছিল তৎকালিন ইউএনও স্যার সেই তালা খুলে দিয়েছিল আর জীবনে এমন কাজ করবেনা বলেছিল।
স্থানীয় ডা. হাবীবুর রহমান সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি আর বলব সদর উপজেলার সব ইউনিয়নেই কম বেশি সরকারী মাদরাসা আছে কিন্তু অতি দু:খের বিষয় মাওলানা ইউসুফ প্রায় দশ বছর সাধনা করে এই মাদরাসাটি দাড় করতে পেরেছিল কিন্তু বিএনপি নেতা নজরুল আজকে সমস্ত সমস্যার মুল কারণ। সে যখন এলাকার বাহিরে থাকে তখন মাদরাসা,মসজিদ,সমাজ ভাল্্ই চলে আর যখন এলাকায় আসে তখন কারো সাথে না কারো সাথে দলাদলি গ্রæপিং পাকাতে থাকে। সে কয়েক বছর বিদেশ ছিল আমরা খুব শান্তিতে ছিলাম। এরপর আবার দেশে এসে বিশৃংখলা শুরু করল, এরপরে যখন ২০১৭ সালে চররোসুন্দিতে দেলোয়ারকে হত্যা করা হইল এবং তাকে তিন নম্বর আসামি করা হলে তখন সে পালিয়ে গেল তখন আমরা খুব শান্তিতে ছিলাম। ঐ মামলা থেকে জামিনে আসার পর আবার ও বেপরোয়া হয়ে উঠল।
নজরুল তালুকদারের কাছে মাদরাসা বন্ধ করার অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে ইউসুফ যদি মাদরাসা করতে চায় তাহলে অন্য দেশে জাইয়া করুক কিন্তু চররোসুন্দীতে কোন মাদরাসা করতে দেয়া হবে না । আর করতে হলে আমার কথায় সকলকেই চলতে হবে।