নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, কারানির্যাতীত সাবেক ছাত্রনেতা সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। তিনি গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ কে সাথে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করেন।
গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ হাসান মেহেদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা রাশিদুল বাসার ডলার সহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিকট থেকে মনোনয়ন গ্রহন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাংবাদিক শেখ জামাল, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান মৃধা পলাশ প্রমুখ।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।
মনোনয়নপত্র উত্তোলনের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবকে শুভেচ্ছা জানান। সেই সাথে আওয়ামী লীগের দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা, জনগনের উপর আস্থাসহ রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি পেশাজীবীদের মুল্যায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ১৯৯০ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান উপদেষ্টা করে গড়ে তোলেন বঙ্গবন্ধু কিশোর সংসদ। ১৯৯২ সালে কুষ্টিয়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সংগঠনের কার্যালয় উদ্বোধন করেন। ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হন।
১৯৯২ সালে জেলা ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য হন। ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকারের কালো আইন সন্ত্রাস দমন অধ্যাদেশের প্রথম মামলা হয় কুষ্টিয়ায়। ছাত্রশিবিরের মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ১১ মাস কারাবরণ করেন। এইচএসসি পরীক্ষা দেন কারাগারে। জেল থেকে বেরিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৯৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথমে আহবায়ক, পরে সভাপতি হন। এসময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এনামুল হক শামীম, সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী খান পান্না, দপ্তর সম্পাদক ছিলেন রফিকুল ইসলাম কতোয়াল।
২০১৪ সালে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হন সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। ২০১৯ সালে পূণরায় জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হন। এরআগে ২০০২ সালে কুষ্টিয়া সদর থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।
সাবেক জগতি ইউনিয়নের সাবেক ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (বর্তমানে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড)। সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের বারবার সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১০ সালে কুষ্টিয়ার প্রগতিশীল সাংবাদিকদের নিয়ে গড়ে তোলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া যা ২০১৬ সালে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়। সাংবাদিক ও সাবেক কারানির্যাতীত ছাত্রনেতা রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দীনেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে ৮০৬ লাইনের কবিতার বই ‘জননেত্রী ফিরে আসবেই’ প্রকাশ করেন।
যার ভূমিকা লিখেছেন কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন। প্রকাশনায় সহায়তা করেছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান। এই বই প্রকাশের পর ওয়ান ইলেভেনের সরকারের রোষানলে পড়েন সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে নুতন বাংলা ও স্বাধীনতার পরে দৈনিক বাংলার বাণীর সাংবাদিক ছিলেন সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের পিতা প্রয়াত নাহারুল ইসলাম। তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় ভূমিহীনদের জমি বরাদ্দ বিষয়ক ভূমি বরাদ্দ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বঙ্গবন্ধুহত্যার পর তাকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করা হয়।
তিনি কুষ্টিয়া জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি, দৌলতপুর থানা বাকশালের সভাপতি ও জেলা বাকশালের সহ সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের শাশুড়ি শাহানারা বেগম কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার শশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।
সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের সহধর্মিণী আফরোজা আক্তার ডিউ বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত নারী সহ-সভাপতি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র নেতৃত্বে কুষ্টিয়ায় কখনও ওয়ার্ড কমিটি, কখনও থানা কমিটি, বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রোতোভাবে সম্পৃক্ত। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে, শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে মাঠে রয়েছেন কারানির্যাতীত সাবেক ছাত্রনেতা রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।
তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা’র তত্বাবধানে ‘সীমান্ত এলাকার মানবাধিকার’ বিষয়ে এম.ফিল সম্পন্ন করেন। বর্তমানে ‘বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও তুলনামূলক আইনী বিশ্লেষণ’ বিষয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।
সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ডাংমড়কা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া কলকাকলী, কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, ঢাকা কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়