কাভার্ডভ্যানের চাপায় আহত সার্জেন্ট কিবরিয়া মারা গেছেন
কাভার্ডভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মিকেল মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিব কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) এর ক্যাম্প পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সার্জেন্ট কিবরিয়াকে চাপা দেয়ার ঘটনায় মহানগরীর বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যান চালক আব্দুল জলিল সিকদারকে আসামী করে ১৫ জুলাই রাতে ট্রাফিক পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এই মামলায় আজ মঙ্গলবার ১৬ জুলাই দুপুর সোয়া ২টায় আদালতে হাজির করে ঘাতক জলিল শিকদারকে।
বরিশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শামীম আহম্মেদ ঘাতক কর্ভারভ্যান ড্রাইভার জলিল শিকদারকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্নকাঠিতে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্নজিরো পয়েন্ট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মিকাইল।
এসময় যমুনা গ্রুপের পটুয়াখালীগামী বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামাতে সংকতে দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া। কিন্তু চালক কাভার্ডভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।
তখন সার্জেন্ট কিবরিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটি আটকের চেষ্টা করে। সার্জেন্ট কিবরিয়া ট্রাকের আগে উঠে সিগনাল দিলে কাভার্ডভ্যান চালক জলিল সিকদার তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে কিবরিয়ার দুই পায়ের চার স্থানে ভেঙে যায় এবং মুত্রথলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পরে স্থানীয়র তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তিকরে। পাশাপাশি কাভার্ডভ্যান ও পালিয়ে যাবার চেষ্টা কালে চালক জলিল সিকদারকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে সার্জেন্ট কিবরিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতী ঘটলে সোমবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তাকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকরে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এর পর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।