নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোরঃ জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মহিলা কলেজ সরকারিকরণের তিন বছর পার হলেও কর্মরত অনার্সের ১৩টি বিষয়ের ৪৬ শিক্ষক নন এমপিও রয়ে গেছেন। কলেজ থেকে তাদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মানবেতর জীবন পার করছেন এসব শিক্ষক।
সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজকে অনার্সের পাঠদানের অনুমতি দেয়া হয় ২০১২ সালে। কলেজটিকে পর্যায়ক্রমে অনার্সের ১৩টি বিষয়ে পাঠদানের অনুমতি দেয়া হলে নতুন করে ৪৬ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। কলেজটির এইচএসসি ও ডিগ্রির বিষয়ের অন্য ৫৮ শিক্ষকের এমপিও হয়। আর অনার্সের ৪৬ শিক্ষকের এমপিও না থাকায় কলেজ থেকে বেতন দেয়া হতো।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করলে অনার্সের শিক্ষকদের কলেজ থেকে বেতন দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। টানা তিন বছর ধরে নন এমপিও ৪৬ শিক্ষক সরকারি ও কলেজ থেকে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন। পাশাপাশি এমপিও থাকা ৫৮ শিক্ষকও সরকারি হননি।
বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাসুদুর রহমান জানান, চার বছর কলেজ থেকে বেতন পেলেও তিন বছর ধরে কোনো টাকা পান না। প্রতিষ্ঠানে শ্রম দিলেও এর মূল্য না পাওয়ায় মানবেতন জীবন পার করছেন।
একই বিভাগের শিক্ষক রেশমা বলেন, ‘কলেজে আসার জন্য স্বামীর থেকে রিকশা ভাড়া চাইলে কথা শুনতে হয়।’
সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, বেতন না পেয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে। শিক্ষকতায় থাকায় সব পেশায় যুক্ত হতে পারছেন না তিনি।
শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হওয়ার আগে অনার্সের শিক্ষার্থীদের প্রতিমাসে বেতন ৫০০ টাকা নেয়া হলেও এখন নেয়া হয় ২৫ টাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ থেকে নন এমপিও শিক্ষকদের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর দফতরগুলোতে ফাইল আটকে থাকায় নন এমপিও শিক্ষকরা মানবেতর জীবন পার করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ২ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়