এম পি ও আর কত দেরি

‘ অসহায় জীবন চলার পথে পুনরায় চোখের পানিতে আবার মনে হয় পিছল হয়ে চলেছে। সবাই পেল আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি। অথৈয় সাগরের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি এর যেন কোন কূলকিনারা নেই মৃত্যুই মনে হয় একমাত্র পরিনাম।”

দীর্ঘ 27 বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকবৃন্দ আর কত অপেক্ষা! আর কতটা কাল  অপেক্ষা করলে সে কাঙ্খিত এম. পি. ও তাদের জীবনে ধরা দিবে। কলেজ শাখার উচ্চমাধ্যমিক ডিগ্রী এবং মাদ্রাসা বিভাগে ফাজিল এবং কামিল শ্রেণীর শিক্ষকবৃন্দ ও এমপিও হতে পারে।  শুধু পারে না অনার্স মাস্টার্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক বৃন্দ তবে কি তাদের কোন যোগ্যতা নেই, তারা কি  যোগ্যতা প্রমাণ করে এই মহান শিক্ষকতা পেশায় আসেনি। তাহলে কেন এত অপেক্ষা আর কতটা কাল অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে।  শিক্ষকবৃন্দ জীবন দিলেই কি তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ হবে। ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি তো মানবতার ‘মা “ মায়ানমারের দশ লক্ষ নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সেখানে আপনারই দেশে জন্ম নেওয়া উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকবৃন্দ কেন এমপিও পাবে না। কি তাদের অপরাধ ? সারা বাংলাদেশে ৩৫০০ (সাড়ে তিন হাজার) শিক্ষক এবং তাদের জন্য প্রয়োজন 104 কোটি 9 লক্ষ টাকা। জনবল কাঠামো অন্তর্ভুক্তি করে, এ টাকা বরাদ্দ দিলেই তারা এমপিওভুক্তির আওতায় আসতে পারে। আমরা অনার্স মাস্টার্স এর নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ এর একটি সুষ্ঠু সমাধান আপনার কাছে আশা করছি।

 মোঃ আরাফাত হক

প্রভাষক ( ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ)