এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে ১১ দিন ধরে প্রেস ক্লাবে শিক্ষকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে ১১ দিন ধরে প্রেস ক্লাবে শিক্ষকরা
সারা দেশ থেকে আসা শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির ১১তম দিন ছিল সোমবার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
সারা দেশ থেকে আসা শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন।
অবস্থান কর্মসূছি থেকে শিক্ষক নেতারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপক ফারাক। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ।
তারা আরও বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না। বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।
জোটের যুগ্ম আহ্বাক প্রিন্সিপাল দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজার এক শর বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয়, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ভর্তুকি ব্যতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব।’