এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে আসেন ইচ্ছেমতো

শৃঙ্খলা পরিপন্থী বলছে এনসিটিবি

শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ে অফিসে উপস্থিত হচ্ছেন না। এমনকি অফিস সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগ করছেন। একে অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী উল্লেখ করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হওয়া এবং অফিস ছাড়ার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ। ১ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবির সচিব মোসা. নাজমা আখতারের সই করা এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

এনসিটিবি প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করে। এ ছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব বই ছাপিয়ে বিনা মূল্যে বিতরণ করে সংস্থাটি। উচ্চমাধ্যমিকের নির্ধারিত একাধিক বই এনসিটিবি প্রকাশ করে। অবশ্য উচ্চমাধ্যমিকের বই কিনে পড়তে হয়। বছরের শুরুতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই বিতরণ করা হয়। যদিও এবার বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে উৎসব করা হলেও সময়মতো সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই দিতে পারেনি এনসিটিবি। এমনকি জানুয়ারি মাস শেষ হওয়ার পরেও দেশের অনেক শিক্ষার্থী সব বই হাতে পায়নি। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি করা পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। বিতর্কের মধ্যেই বইয়ের ভুল-অসংগতি থাকলে তা চিহ্নিত করে সংশোধন করা এবং এ বিষয়ে কারও গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে দুটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এনসিটিবির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হওয়া এবং অফিস ছাড়ার জন্য নির্দেশনা জারি করল এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস চলে সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। স্বাভাবিক সময়ে অফিস চলত সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। কিন্তু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য গত আগস্ট মাসে অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনে সরকার। প্রথমে অফিস সময় করা হয় সকাল আটটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত। পরে আরেক দফায় পরিবর্তন এনে গত ১৫ নভেম্বর থেকে অফিস সময় করা হয় সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। যা এখনো চলছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০২/২৩