চট্টগ্রামঃ খাল রক্ষণাবেক্ষণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বছরভিত্তিক প্রকল্প নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এজন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, মেইনটেনেন্সের জন্য বছরভিত্তিক ছোট প্রকল্প নেওয়া যায়। মন্ত্রী মহোদয়ের যে আর্থিক সীমা সে অনুযায়ী কিন্তু অনেকগুলো প্রকল্প দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যায়।
গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
নওফেল বলেন, ওয়াসার মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে যেসব খাল বের হয়েছে, সেখানে কিছু দখল–বেদখল হয়েছে এবং কিছু কিছু আগেও ছিল। সিটি কর্পোরেশন আগে খালগুলো নিজেরাই রক্ষণাবেক্ষণ করত। কর্পোরেশন নিজেদের রেভিনিউ বাজেট থেকে জনবল দিয়ে এবং নির্দিষ্ট সময় ধরে একেকটা খাল পরিষ্কার করত। তখন খরচও হয়ত কম ছিল। কিন্তু তখন সরকারের পক্ষ থেকে এত প্রকল্প নেওয়া হতো না। মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে আবিষ্কৃত ৫৭ খালের মধ্যে ৩৬টায় সিডিএ কাজ করছে। বাকি ২১টাতে সিটি কর্পোরেশনের রুটিন ওয়ার্ক কি হয়নি বা বাজেট ক্যাপাসিটিতে করতে পারছেন কিনা জানতে চাই। সিটি কর্পোরেশনে তো রেভিনিউও বাড়ছে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে যে ৩৬ খালে কাজ চলমান সেখানে পাড় উঁচু করা, রিটেইনিং ওয়াল করাসহ কাজ হচ্ছে। কিন্তু মাটি উত্তোলন সে অনুযায়ী হচ্ছে না। ভূমি অধিগ্রহণেরও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। জরুরি ভিত্তিতে চসিক–সিডিএ দুই সংস্থা মিলে পানিপ্রবাহের পথ পরিষ্কার করার জন্য কিছু করার আছে কিনা জানতে চান তিনি।
এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ডুপ্লিকেশনের কারণে ৩৬ খালে কাজ করার সুযোগ নেই জানালে নওফেল বলেন, হাত দিতে পারি না–এটা তো আপনারা বারবার বলেন। যেখানে পারেন সেখানে করেন না কেন? আগে তো হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ছিল না। আসলে আমরা এখন সবাই প্রকল্পপ্রিয় হয়ে গেছি। প্রকল্প হলে কাজ হবে, না হলে হবে না। আমার রুটিন কাজ কী? তিনি বলেন, আগে কম রেভিনিউতে করতে পারলে এখন কেন বাকি খালগুলোতে কাজ করা যাবে না? আমি বলছি না সবগুলোতে একসঙ্গে করতে হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব আয় থেকে যে কাজ করে তা বাংলাদেশের আর কোনো সিটি কর্পোরেশন করে না। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশাল একটা অংক ভর্তুকি দেয় কর্পোরেশন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়