এইচএসসি: অধ্যক্ষ স্বামীর কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্ত্রীর কলেজের কেন্দ্র পরিবর্তন

অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্যই এই কেন্দ্র পরিবর্তন বলছে একাধিক সূত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যার কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ২৭ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে। রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এই পরীক্ষার একটি কেন্দ্র নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। আর এই আলোচনা সমালোচনা কারণ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্ত্রীর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র অধ্যক্ষ স্বামীর কলেজে পরিবর্তন নিয়ে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন এনায়েত বাজারে অবস্থিতি মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র ছিল ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজে। কিন্তু রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া কলেজটির এইচএসসির কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজে। আর এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হচ্ছে মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শারমিন তালুকদার এবং ওমরগণি এম.ই.এস কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সরোয়ার আলম মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শারমিনের স্বামী।

আরও পড়ুনঃ

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কোনো কলেজের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হলে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন প্রতিবেদন এবং জেলা পর্যায়ের জেলা প্রশাসনের পরিদর্শন প্রতিবেদন  সংযুক্ত করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর পাঠাতে হবে। যৌক্তিক কারণগুলোর মধ্যে, শিক্ষার্থীদের স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্বের কেন্দ্র বেশি দুরুত্ব হলে এবং নতুন কেন্দ্র নিকটে হলে, পূর্বের কেন্দ্রে পরীক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হলে, ধারণ ক্ষমতা কম হলে কিংবা পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকলে।

চলতি মাসের তিন তারিখে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত কেন্দ্র তালিকায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকায় মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পূর্বের কেন্দ্র ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজে এবারও পাথরঘাটা সি/ক মহিলা কলেজ, অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা স্কুল এণ্ড কলেজ, মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এবং জে.এম.সেন স্কুল এন্ড কলেজ চারটির কেন্দ্র করা হয়েছে। পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং ধারণ ক্ষমতা আছে বলেই চারটি প্রতিষ্ঠানের এবারের এইচএসসি পরীক্ষাও ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডটি।

অন্যদিকে দুরত্বের বিবেচনায় দেখা গেছে, মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের পূর্বের কেন্দ্র ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজের দ্রুরত্ব মাত্র ১.৯ কিলোমিটার অথচ কলেজটির নতুন কেন্দ্র ওমরগণি এম.ই.এস কলেজের দুরত্ব ৩.৩ কিলোমিটার। অর্থ্যাৎ দুরত্বের বিবেচনায় নতুন কেন্দ্র  মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পৌঁছাতে আরও আরও বেশি সময় লাগবে।

শিক্ষা বোর্ডটির কেন্দ্র হিসেবে তালিকা ভুক্ত করার যে শর্তাবলি রয়েছে ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজ তা পূরণ করেছে। তবে কোন যৌক্তিক কারণে এই কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে তার অনুসন্ধানে মিলেছে চাঞ্চলক্যর তথ্য। জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কলেজটির অধ্যক্ষ অবসরে গেলে জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে আট নম্বরে থাকা সোহানা শারমিন তালুকদারকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব প্রদান করে গভর্নিং বডি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলিতে বলা আছে, কলেজ অধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে উপাধ্যক্ষ অথবা জ্যেষ্ঠতম পাঁচজন শিক্ষকের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে দায়িত্ব দিতে হবে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই চাকরির শর্তাবলি সংশোধিত রেগুলেশন অ্যাক্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলী  দেখিয়ে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ৮ নম্বরে থাকা সোহানা শারমিন তালুকদারকে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিজের অবস্থান শক্ত করতে এবং অনৈতিক সুবিধা নিতে অধ্যক্ষ স্বামীর কলেজে কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য জোর চেষ্টা চালান। আর এই কেন্দ্র পরিবর্তনের ফলে শিক্ষকদের মধ্যে যেমন বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে তেমনই অভিভাবকদের মধ্যেও রয়েছে নানা সমালোচনা, গুঞ্জন। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা যেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে কোনো ধরণের প্রতিবাদ করতে না পারে। কারণ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শারমিন তালুকদারের স্বামী অধ্যক্ষ আ ন ম সরোয়ার আলমের ওমরগণি এম.ই.এস কলেজে। এছাড়াও কেন্দ্র পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে কেন্দ্র ফি বাণিজ্য।

কলেজটির কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কোনো যৌক্তিক কথাও যদি বলা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল ম্যামের সাথে চলা একজন শিক্ষক আমাদের ফেল করানোর ভয় দেখিয়েছে। এছাড়াও আগে পরীক্ষা কেন্দ্র নিকটে ছিল এখন দূরে যেতেও সময় লাগবে।

মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দীর্ঘ বছর ধরে পরীক্ষা চলে আসছে। এখানে কোনো ধরণের সমস্যা ছিল না। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার নিজের চেয়ারটি ধরে রাখতেই তার স্বামীর কলেজে কেন্দ্র পরিবর্তন করেছে। এছাড়াও এখানে অর্থ বাণিজ্যের বিষয়টিতো আছেই। এই সূত্র জানান, কেন্দ্র পরিবর্তন হয় শুধু মাত্র পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অথচ এখানে এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার্থীরা কোনো সুবিধা তো পাবেনই না বরং পরীক্ষা কেন্দ্রের দুরত্ব বাড়ল এবং পরীক্ষার্থীরা জিম্মি হলো।

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শারমিনের মেয়ে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী যার পরীক্ষা কেন্দ্র সিএমপি পুলিশ লাইন্স। মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী হওয়া স্বত্বেও তিনি এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিং এবং ডিসি অফিসের সভায় উপস্থিত ছিলেন যা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বোর্ড কর্মকর্তা জানান, নিয়ম না থাকার পরও সোহানা শারমিন সভায় উপস্থিত ছিলেন। তথ্য পাওয়ার পর আমরা কারো সন্তান পরীক্ষার্থী আছে কি না জানতে চাই? অন্য সবার মতো তিনিও নিরব থাকেন। কিন্তু যখনই ওনাকে জিজ্ঞেস করা হয় তখনই তিনি কোনো কথা বলেন না। পরে  উপাধ্যক্ষ নতুন তাকে শুধু সহযোগিতা করতে এসেছেন বলে জানালে সাথে সাথেই আমরা তাকে সভা থেকে বের হয়ে যাবার অনুরোধ করি এবং তিনি বের হয়ে যান। জানা গেছে, বোর্ড থেকে বের করার পরের দিনই তিনি ডিসি অফিসের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠইত সভায় উপস্থিত হন যা সভায় উপস্থিতিদের অনেকে জানিয়েছেন। যা বিধির লঙ্ঘন।

নিজের অধ্যক্ষ স্বামীর কলেজে কেন্দ্র পরিবর্তন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী হওয়ার পরেও শিক্ষা বোর্ডের এবং ডিসি অফিসের মিটিংয়ে উপস্থিতি থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শারমিন শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই হয়েছে কোনো অনিয়ম হয়নি। অধ্যক্ষ স্বামীর কলেজে কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়টি জেলা প্রশাসনে এবং শিক্ষা বোর্ডে জানিয়েছিলেন কি’না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি, অনেক আগে থেকেই কেন্দ্র পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।

মেয়ে পরীক্ষার্থী হওয়ার পরেও শিক্ষা বোর্ডের এবং ডিসি অফিসের মিটিংয়ে উপস্থিতি থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, সেখানে কোনো প্রশ্ন পত্র ছিল না। তাই কোনো অনিয়ম হয়নি। প্রশ্ন পত্র থাকলে সেখানে আমি যেতাম না।

কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, কেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সুপারিশ পাঠাতে হয়। সেই সুপারিশের আলোকেই আমরা কেন্দ্র পরিবর্তন করে থাকি। অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন একই কেন্দ্রে থাকায় বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে আমরা পাঁচ দশ বছর পর রুটিন মাফিক কেন্দ্র পরিবর্তন করে থাকি। মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শারমিন তালুকদারের স্বামী অধ্যক্ষ আ ন ম সরোয়ার আলমের ওমরগণি এম.ই.এস কলেজের কেন্দ্রে পরিবর্তনের বিষয়টি জানতেন কি’না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে স্ত্রীর কলেজের পরীক্ষার কেন্দ্র অধ্যক্ষ স্বামীর কলেজের কেন্দ্রে জানলে কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ দিতেন কি’না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিষয়টি তো প্রশাসনের মাধ্যমে আসে তারা বিবেচনা করে সুপারিশ করবেন।

তিনি আরও জানান, মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শারমিন তালুকদারের মেয়ে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় তিনি পরীক্ষার বিষয়ে কোনো মতামত বা উপস্থিত থাকতে পারবে না।

স্বামীর কলেজে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে স্ত্রীর কলেজের কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়টি পরিদর্শনকালে জানিয়েছিলেন কি’না জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবদুল মালেক এর মুঠোফোনে কল করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক রেজাউল করিম বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার এর মুঠোফোনে কল করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, একটি বোর্ডের তো জানার কথা নয় স্ত্রী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কিংবা কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা কলেজটিতে স্বামী অধ্যক্ষ। তবে যদি অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয় সেটা অবশ্যই আইনের ব্যত্যয়। তবে সেটা আমার বোর্ড হোক বা অন্য বোর্ড বিষয়টি আমাদের নজরে আনেন অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব।

উল্লেখ্য, বার বার নোটিশ দেওয়ার পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধি অনুয়ায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর না করতে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ৮ নম্বরে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোহানা শরমিন তালুকদার। দায়িত্ব নেয়ার ৬ মাস পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চিঠির উত্তর না দেওয়ায় চলতি মাসের গত ০১ তারিখে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পাঁচ জনের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে দায়িত্ব দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে জনানোর কথা থাকলেও তা না করে মিথ্যা ও সন্তোষজনক নয় এমন জবাব দিয়েছে যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৫/০৮/২০২৩  

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়