মৌলভীবাজারঃ জেলার বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি প্রতারণার মামলায় তদন্তে অবহেলার দায়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নোটিশের মাধ্যমে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে নির্ধারিত দিনে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ময়দান গ্রামের হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সৌদি আরবে নেওয়ার কথা বলে অগ্রিম এক লাখ ২০ টাকা নেন বিয়ানীবাজারের সৌদি প্রবাসী আজিম আলী, তার ভাই ফয়জুর রহমান ও তাদের এক আত্মীয় রুমি বেগম। ২০২১ সালের ওই ঘটনায় ভিসার ব্যবস্থা না করা ও টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা মামলা করেন। আদালত সেটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়া এবং এ ব্যাপারে আদালতের তাগিদপত্র প্রদান সত্ত্বেও জবাব না দেওয়ায় মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়ে এবং আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শফিউল আলম বেলালী জানান, আদালত কর্তৃক তাগিদপত্র ইস্যুর পরও একাধিক ধার্য তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে মর্মে লিখিত কারণ ও ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আগামী ৬ নভেম্বর তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশের অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ডাকযোগে ও ই-মেইলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৭/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়