নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের সচিবা নূরুল হুদা ফয়েজী বলেছেন, মুসলিম জাতিসত্ত্বার তাহজিব-তামাদ্দুন ধ্বংস করে শিক্ষা সিলেবাসে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে কারা? জাতির সামনে তাদের পরিচিতি তুলে ধরতে হবে। কারা হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা মুসলমানের বাচ্চাদের মননে মগজে ঢুকিয়েছে, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের জাতীয়তা ধ্বংস করে পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় কৃষ্টি-কালচারের আগ্রাসন সময় থাকতে রুখে দাঁড়াতে হবে। ঈমান আক্বিদা ও ইসলামী মূল্যবোধ পরিপন্থী বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত হওয়াটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং পূর্ব পরিকল্পিত।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরস্থ ঘরের ছোঁয়া রেস্তোরা এবং পার্টি সেন্টারে কোরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর উত্তরের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘কোরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না একটি শিশুও’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী। বোর্ডের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মুফতী আবুল কালাম আজাদ আনওয়ারির সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুফতি মাসউদুর রহমান চাঁদপুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মুফতি মোহাম্মদুল্লাহ আনসারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নূরুল হুদা ফয়েজী বলেন, সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা এবং বাংলাদেশের শিক্ষা সিলেবাস থেকে কোরআনি শিক্ষা তুলে দেওয়া একই সূঁতোয় গাঁথা। এ জন্য ইসলামের এ সকল দুশমনদের বিচার করতে হবে। শিক্ষা কারিকুলামে বিজাতীয় আগ্রাসন বন্ধ, অনৈসালামিক ও বিতর্কিত নাস্তিক্যবাদ বই বাতিল করে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। তিনি বলেন, ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার কুরআনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোরআন শিক্ষা বোর্ড কাজ করছে। তিনি কোরআন শিক্ষার এ আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০২/২৩