অশালীন আচরণ করা সেই শিক্ষককে বরখাস্ত

লালমনিরহাটঃ জেলার আদিতমারীর মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাচিবিক ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম শাহিনের অশোভন আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীরা মানববন্ধনে শাস্তি ও স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুতির দাবি তোলেন।এর আগে সকালে কলেজের গভর্নিং বডি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাচিবিক ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম শাহিন কখনোই আমাদের স্যার হতে পারে না। উনি যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিড়ি ও সিগারেট কিংবা নেশা পান করে তাহলে আমরা তার কাছে কী শিখব। এ ছাড়া রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কলেজে জাহাঙ্গীর আলম শাহিন স্যার অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে রেগে গিয়ে প্যান্টের চেইন খোলার ঘটনা ঘটান তিনি। এ ঘটনার সময় আরও কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমরা এর বিচার চাই।

এতে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক সদস্যসহ এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওক্লিপ রোববার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, উত্তেজিত শাহিন নিজের প্যান্টের বেল্ট খোলার পর চেইন খুলতে উদ্যত হলে সেখানে উপস্থিত অপর একজন শিক্ষক তাকে নিবৃত করেন। এসময় অধ্যক্ষকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন শাহিন। অধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর সামনে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এর আগে কলেজে অনুপস্থিত ও নির্ধারিত সময়ে না আসা নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা একপর্যায়ে তিনি এ ঘটনা ঘটান।

মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান চৌধুরী জানান, সর্বসম্মতিক্রমে সাচিবিক ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম শাহিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট অধ্যক্ষ সরওয়ার আলম কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে। এতে বলা হয় গত ২০ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করেছেন। যা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলাবিরোধী। এ ছাড়াও দৈনিক ক্লাস রুটিনে ক্লাস থাকা সত্ত্বেও আপনি ক্লাস করেন না। যার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব প্রদান করা না হলে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু তার তিনি জবাব না দিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/০৯/২০২৩     

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়