ঢাকাঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আগের মতো একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে এবার তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ছয় মাস পর প্রথম ধাপে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষাসংক্রান্ত ব্যয়ের টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় এত দিন ছাড় না দেওয়ায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আটকে ছিল। অর্থ ছাড়ের বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় মৌখিক সম্মতি দিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ–সংক্রান্ত চিঠি আসবে।
সূত্রটি আরও জানায়, অর্থ ছাড়ের বিষয়ে চিঠি আসার পর প্রথম ধাপের পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ নির্দিষ্ট করা হবে। যেহেতু অর্থ মন্ত্রণালয় মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়েছে, তাই আগামী অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির ওপর।
সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভাগগুলোর কেন্দ্রের সংখ্যা ও প্রার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য জানতে চেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩–এর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) খুব শিগগিরই নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিভাগগুলোতে কেন্দ্র সংখ্যা এবং কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য প্রয়োজন। এ জন্য জেলার সম্ভাব্য কেন্দ্রের তালিকাসহ সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার সংখ্যা সরেজমিনে যাচাই করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রের নাম, কেন্দ্রের ঠিকানা ও আসন সংখ্যার তালিকা পাঠানোর আজ শেষ সময়।
তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন। প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন। দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে আবেদন করেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন।
নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে এবার বিভাগ ধরে ধরে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগে। এ কারণে ফল প্রকাশও পিছিয়ে যায়। অনেকে আবার উত্তীর্ণ হয়েও যোগদান করেন না। ফল প্রকাশের আগেই তাঁদের হয়তো অন্য কোথাও চাকরি হয়ে যায়। তাই নিয়োগপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রার্থীদের সুবিধার জন্য বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ।
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৮ জুলাই।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়