ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৩ তম সিন্ডিকেট সভা আজ অনিবার্য কারণ বশত স্থগিত করা হয়েছে। জানা যায় অনলাইনে যুক্ত থাকার কথা থাকলেও উপাচার্য অসুস্থ থাকায় তড়িঘড়ি করে ডাকা এই সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৭ জন কর্মচারীর নিয়োগসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সিন্ডিকেট অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, একটি অসাধু নিয়োগ বাণিজ্য চক্র পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে তড়িঘড়ি করে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করতে চান। যদিও ট্রেজারারের সিন্ডিকেট সভা ডাকার ক্ষমতা নেই। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত লাইফ সাপোর্টে আছেন। সিন্ডিকেট সভায় অংশগ্রহণ করা তার অনেকটা অনিশ্চিত এটা জানা সত্বেও আজ রবিবার অনলাইনে উপাচার্যের উপস্থিতি থাকবে বলে সিন্ডিকেট ডাকা হলেও শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত হলো।
তবে পরবর্তী সিন্ডিকেট কবে হবে বা কবে হতে পারে এ বিষয়ে জানার জন্য সিন্ডিকেট সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: রইছ উদ্দীন ও একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: নূরে আলম আব্দুল্লাহকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায় নি।
এদিকে শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিন্ডিকেট পেছানোর এক সিদ্ধান্ত জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে পদোন্নতি বা আপগ্রেডেশন সংক্রান্ত কিছু সিলেকশন বোর্ড সম্পন্ন হলেও এখনো বেশ কিছু সিলেকশন বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়নি। সেপ্টেম্বরে কিছু বোর্ড হলেও গত জুলাই বা তারও পূর্বে আবেদন করে এবং সকল শর্ত পূরণ করেও নানা কারণে অনেকের বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে পদোন্নতি প্রত্যাশী সহকর্মীবৃন্দ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
আরো বলা হয়, তাই রবিবার ৯৩ তম সিন্ডিকেট সভা হলে, তবে যে সকল সহকর্মীর সিলেকশন বোর্ড করা সম্ভব হয়নি তাদের বোর্ড যখনই হোক না কেন, তাদের পদোন্নতি ২৯ অক্টোবর তারিখ থেকেই কার্যকর হবে। এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হলেই কেবল ইতোপূর্বে সম্পন্ন হওয়া বোর্ডেগুলোর সুপারিশ সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা যেতে পারে। অন্যথায়, সিন্ডিকেট সভা পিছিয়ে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সকল বোর্ড সম্পন্ন করে সিন্ডিকেটের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা যেতে পারে।
শিক্ষক সমিতি আরো বলেন, শিক্ষকদের সাধারণ সভায় বর্তমান উপাচার্য স্যারের প্রায় অচেতন বা অর্ধচেতন (হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র মতে) অবস্থায় প্রথাবিরোধী এবং আনঅফিসিয়াল প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল স্বাক্ষর করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এ নিয়ে অধিকাংশ সহকর্মী অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রশাসন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক শৃঙ্খলা অনুসরণ করার জন্য সভায় মতামত ব্যক্ত করেন।+
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়