ঢাকাঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০০৮ সালে আমাদের শুধু ২০২১ সালের পরিকল্পনা দিয়েই বসে থাকেননি, কারাগারে বসে বসে শুধু দিন বদলের সনদ রচনা করেননি, তিনি ২০২১ সালের আগেই ২০৪১ সালের রূপকল্প তৈরি করেন। এমনকি ২১০০ সালের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপকল্প তৈরি করেন। এই বাংলাদেশের যত প্রাপ্তি সবটুকু বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে পাওয়া। আগামীতে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি তাও দেখতে পারছি বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের কারণেই।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক-২০২৩ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আখতারুজ্জামান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। পাশাপাশি অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক এ এন মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদের পক্ষে (মরণোত্তর) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক-২০২৩’ পুরস্কার গ্রহণ করেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিউল হাসান অভি। গত ২৭ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি থেকে এ এন মাহফুজ খাতুন বেবি মওদুদকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক (মরণোত্তর) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তরুণরাই আগামীর নির্বাচনের মূল অংশ। তরুণদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা কি ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হবেন? প্রযুক্তি, বিজ্ঞান নিয়ে এগিয়ে যাবেন? নাকি একটা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো একটা অশান্তির, অরাজকতার, দুর্নীতি-দুঃশাসনের, পৈশাচিকতার, হত্যা–ধর্ষণের একটা ভয়াল জনপদের মাঝে বাস করবেন?
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা শান্তির পথে হাঁটব। আমরা সমৃদ্ধির পথে হাঁটব। আমরা প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের পথে হাঁটব। আমরা উদারতার পথে হাঁটব। আমরা মানবিকতার পথে হাঁটব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেবি মওদুরের গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুজন ভিন্ন রাজনৈতিক দল করার পরেও তাদের মাঝ ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা। যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা ছয় বছর প্রবাসে দুঃসহ-নির্বাসিত জীবনযাপন করে দেশে ফিরে এলেন, সেই দিনগুলোতে ছায়ার মতো ছিলেন বেবি মওদুদ। বঙ্গবন্ধুর লেখাগুলো যে আমরা হাতে পেয়েছি, এখানে যে ক’জন মানুষের অসম্ভব রকমের পরিশ্রম এবং ভীষণ রকমের যত্নের মধ্যদিয়ে এটা আমাদের হাতে এসেছে, তারমধ্যে বেবি আপা একজন। এই মানুষকে মরণোত্তর সম্মাননা দিয়ে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, স্বর্ণপদক প্রদানের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের বিষয়গুলো চর্চার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে। নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে। গবেষকরা অনুপ্রাণিত হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২২/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়